‘ব্যর্থ’ নবান্ন অভিযান ঘিরে দুই শিক্ষক সংগঠনের চাপানউতর! সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আঠাশে ফের নবান্ন অভিযান
আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
সোমবারের নবান্ন অভিযান “ব্যর্থ” হয়েছে বলে স্বীকার করলেন যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশ। আর সেই ব্যর্থতার জন্য চাকরিহারাদেরই একাংশকে দুষেছেন তাঁরা! ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা যোগ্য শিক্ষা কর্মী, যোগ্য ওয়েটিং নট কলড ফর ভেরিফিকেশন এবং অনশনকারী মঞ্চের অভিযোগ, শিবপুর পুলিশ লাইনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনার সময় ‘শিক্ষক শিক্ষা অধিকার মঞ্চ’ নামে একটি পৃথক সংগঠনের তরফে প্রচুর লোক ঢুকিয়ে আলোচনা বানচাল করে দেওয়া হয়। সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে আদৌ কতটা আন্তরিক তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেই আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য যে তাঁরা বড়সড় প্রস্তুতি নেবেন, তাও ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষকরা।
‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীবৃন্দ (ওয়েটিং নট কলড ফর ভেরিফিকেশন)’ এবং অনশনকারী মঞ্চের নবান্ন অভিযান ডাকা হয়েছিল সোমবার। সংগঠনের আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাস জানান, তাঁদের শিবপুর পুলিশ লাইনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে সদর্থক আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু বৈঠকের মাঝে একটি পৃথক সংগঠন প্রচুর লোক ঢুকিয়ে আলোচনা বানচাল করে দেয়। তিনি জানান, অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য এই আন্দোলনে সামিল ছিলেন। তাঁকে বৈঠকে থাকতে দেয়নি ‘শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ নামে অন্য ওই সংগঠনের নেতা চিন্ময় মন্ডল, অমিত রজ্ঞন ভুঁইয়া এবং মেহেবুব মণ্ডলরা।
সুমনের কথায়, ‘‘আজ যোগ্য তালিকার দিন ছিল। কিন্তু আন্দোলনের নেতা অনিরুদ্ধকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’ পরে তাঁরা মুখ্যসচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। যদিও সুমন জানিয়েছেন, অন্য সংগঠনের বাধাদানের ফলে তাঁদের সোমবারের আন্দোলন কর্মসূচি ‘সফলতা পায়নি’। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ আগামী ২৮ জুলাই যে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে তাতে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীবৃন্দ (ওয়েটিং নট কলড ফর ভেরিফিকেশন)’ শামিল হবে বলে জানান তিনি। অন্য দিকে, ‘শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে’র নেতা মেহবুব জানিয়েছেন, সোমবারের নবান্ন অভিযানের ডাক তাঁদের সংগঠনের তরফেও দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা খুশি নন বলেও জানিয়েছেন মেহবুব। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।