• ময়দানে জমে জল, একুশের গাড়ি রাখা নিয়ে চিন্তা
    আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ভারী বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় রোজই। আর সেই বৃষ্টি নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় কলকাতা পুলিশ। কারণ, আগামী সোমবার, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে শহরে আসা হাজার হাজার বাস ও গাড়ি রাখার কথা ময়দানের বিভিন্ন মাঠে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই ময়দানই এখন জল-কাদায় ভর্তি। তাই বৃষ্টি না কমলে সেখানে যানবাহন রাখা যাবে না। একে তো এ বারের সমাবেশ পড়েছে ভরা কাজের দিনে। তার উপরে চলছে উপর্যুপরি বৃষ্টি। তাই সমাবেশের বাস ও গাড়ি কোন রাস্তায় রাখা যায় এবং একই সঙ্গে শহরকেও সচল রাখা যায়, তা নিয়েই চিন্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। কাজের দিন হওয়ায় শহরের স্কুল-কলেজও খোলা থাকবে। তাই ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিনা বাধায় ফিরতে পারে, তা নিয়েও চিন্তায় পুলিশকর্তারা। গত সপ্তাহে ট্র্যাফিক বিভাগের মাসিক পর্যালোচনা বৈঠকে ২১শের সমাবেশের জন্য গাড়ি রাখার বিকল্প জায়গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    লালবাজার জানিয়েছে, ময়দানের প্রায় ১২টি মাঠে হাওড়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আসা গাড়ি-বাস রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এ বার বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে থাকায় সেখানে পার্কিং করতে রাজি হবেন না সমাবেশে যোগ দিতে আসা সমর্থকদের গাড়ি ও বাসের চালকেরা। তাই সেই সমস্ত যানবাহনের পার্কিংয়ের জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলি বিকল্প জায়গা খুঁজছে। এর পাশাপাশিই অবশ্য সপ্তাহের শেষ দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে শুনে আশায় বুক বেঁধেছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।

    এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বৃষ্টি কমার পরে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় না পেলে মাঠের অবস্থার উন্নতি হবে না। তাই বিভিন্ন গার্ডের তরফে নিজেদের এলাকার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যেমন, উত্তর কলকাতার এপিসি রোডের শিয়ালদহের অংশে সমাবেশের গাড়ি রাখা হলেও বাকি অংশ ফাঁকাই থাকত। এখন সেই অংশেও গাড়ি রাখার বিষয়ে চিন্তুাভাবনা করা হচ্ছে। সমাবেশের দিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বড়বাজার-পোস্তার বিভিন্ন অংশ ফাঁকা থাকার কথা। চেষ্টা চলছে সেখানেও সমাবেশের কিছু যানবাহন রাখার। এ ছাড়া, আশুতোষ মুখার্জি রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড-সহ আরও বেশ কিছু রাস্তায় সমাবেশের গাড়ি রাখা হতে পারে। উল্লেখ্য, সমাবেশের আগের রাত থেকেই কলকাতা পুলিশ এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

    পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার সাঁতরাগাছিতে কাজ চলছে। তাই প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা সমাবেশের গাড়িগুলিকে ডানকুনির মাইতিপাড়া থেকে ঘুরিয়ে নিবেদিতা সেতু ধরে পাঠানো হবে। এর ফলে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে শহরে আসা সমাবেশের গাড়ির সংখ্যা যেমন কমে যাবে, তেমনই ময়দান এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের চাপও কম থাকবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)