সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: টানা দু’টি ম্যাচে ড্র করে প্রবল চাপে ইস্ট বেঙ্গল। তার উপর সামনেই ডার্বি। কোচ বিনো জর্জের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ফের ঘরোয়া লিগে নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। বারাকপুরের বিভূতিভূষণ স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ পাঠচক্র। আসলে ১৯ জুলাই ডার্বির আগে একটাই ম্যাচ পাচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তাই পাঠচক্রের বিরুদ্ধে যে কোনও মূল্যেই জিততে চান বিনো। গতবার লিগে অপরাজিত ইস্ট বেঙ্গলের এবার শুরুতে এমন বেহাল দশা কেন? রক্ষণ ভঙ্গুর। স্ট্রাইকিং ফোর্সেও সমস্যা। ৩ ম্যাচে ৪ টি গোল হজম করেছেন চাকু- সুমনরা। বিপক্ষ চাপ বাড়ালেই কাঁপুনি শুরু। স্ট্রাইকার জেসিন পুরো ফিট নন। তিনি আটকালেই সমস্যা। বিনো জর্জ অবশ্য ছ’জন ভূমিপুত্র খেলানোর নিয়মকেই দুষছেন। কেরালাইট কোচের সাফাই, ‘দলের পারফরম্যান্সে আমিও অসন্তুষ্ট। ছেলেদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছি। পাঠচক্রের বিরদ্ধে ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিতেই হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ছ’জন ভূমিপুত্র খেলানোর নিয়মে তাল কেটেছে। সিনিয়র দলের কয়েকজন ফুটবলারকে ঘরোয়া লিগে খেলাতে চাই।’
সোমবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যে যুবভারতীর প্র্যাকটিস মাঠে প্রস্তুতি সারল দল। মনোতোষ চাকলাদার আনফিট। ডার্বিতেও অনিশ্চিত। ফলে প্রভাত লাকরাকে খেলানো হবে। সিচুয়েশন প্র্যাকটিসে জেসিনকে সিঙ্গল স্ট্রাইকারে রেখে মহড়া সারল ইস্ট বেঙ্গল। দুই উইংয়ে সায়ন ও রোশাল। মাঝমাঠে তন্ময়, গুইতে ও নাসিব। রক্ষণে চাকু মান্ডি, প্রভাত লাকরার সঙ্গে দুই উইং-ব্যাক সুমন ও বিক্রম। প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। তিন ম্যাচের সবক’টিতে জিতে গ্রুপ এ-এর শীর্ষে পার্থ সেনের দল। তাদের গোলরক্ষক অর্ণব দাস আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন। রবিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তাঁর মা। তবে মাতৃবিয়োগের শোক নিয়েই এদিন কল্যাণীতে দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করলেন তিনি। মঙ্গলবার ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে তেকাঠির নীচে জ্বলে উঠতে তৈরি চাকদার পালপাড়ার ২৩ বছরের এই ফুটবলার।
বারাকপুরে খেলা শুরু বিকেল তিনটেয়। সরাসরি সম্প্রচার এসএসইএন অ্যাপে।