স্বামীর সংসার ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন মহিলা। আর সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান তিনি। ওই যুবক নাকি প্রায়ই ওই মহিলার বাড়িতে আসতেন। এমনকি দু'জনকে একসঙ্গে ঘুরতেও দেখা যেত। যে যুবকটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই মহিলা তিনিও বিবাহিত। এমনকী দু'জনেরই সন্তান রয়েছে। রবিবার, ১৩ জুলাই রাতে ওই মহিলার বাড়িতে আসে যুবক। এরপর দু'জনকেই ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
দু'জনকে ধরে স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। দু'জনকেই পরে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের হলদিবাড়ি থানা এলাকার খালপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, হলদিবাড়ি শহরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা চন্দন সিংহের সঙ্গে খালপাড়ার পিয়ালী সরকারের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দু'জনেই বিবাহিত এবং দু'জনেরই সন্তান রয়েছে। ওই মহিলা স্বামীর সংসার ছেড়ে খালপাড়ায় বাপের বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ চন্দন সিংহ মাঝেমধ্যেই ওই মহিলার বাড়িতে আসতেন। এমনকি পিয়ালী সরকারকে নিয়ে বাইরেও ঘুরতেও যেতেন। রবিবার রাতে ওই ব্যক্তি মহিলার ঘরে ঢুকলে পাড়া-প্রতিবেশীরা দু'জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে ফেলেন। মারধর করার পর পাড়ার এক মন্দিরে তাঁদের নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ দু'জনকে উদ্ধার করে হলদিবাড়ি থানায় নিয়ে আসে।