• ট্রেনলাইনের সংযোগের নাট খোলা, ফেসবুক লাইভ করে আলিপুরদুয়ারে দুর্ঘটনা রুখলেন যুবক
    প্রতিদিন | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ট্রেনলাইনের সংযোগকারী নাট খোলা অবস্থায় পড়েছিল। আরও বেশ কিছু নাট ঢিলে হয়েছিল! হতে পারত ট্রেন দুর্ঘটনা! সেই দেখে আর কালবিলম্ব করেননি স্থানীয় যুবক। উপস্থিত বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা রুখে দিলেন তিনি। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের কালজানি এলাকার। ওই পথে আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার ট্রেন চলাচল করে বলে খবর।

    কালজানির বাবুপাড়া এলাকার উপর দিয়েই গিয়েছে রেললাইন। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়টি যাতায়াত করে সেই পথে। ওই এলাকারই বাসিন্দা ভাস্কর চন্দ্র। তিনিই এদিন দেখতে পান, ওই রেললাইনের একটি নাট খুলে পড়ে আছে। অন্যান্য নাটগুলিও ঢিলে হয়ে রয়েছে। ফলে লাইনের সংযোগস্থলও অত্যন্ত ঢিলে হয়ে আছে। সেই ঘটনা দেখে আর অপেক্ষা করেননি ওই যুবক। সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে ঘটনার ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। রেলদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সেই ভিডিও দেখেই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। দ্রুত ওই লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়।

    জানা গিয়েছে, ব্রিজের কাছেই রেললাইনের ধারে একটি চায়ের দোকানে এদিন সকালে গিয়েছিলেন ভাস্কর। সেইসময় ওই লাইনের উপর দিয়ে একটি মালগাড়ি যায়। সেই গাড়ি যাওয়ার সময় লাইনের সংযোগে তীব্র শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। ওই মালগাড়ি চলে যাওয়ার পরই কৌতুহলবশত তিনি সেখানে যান। লাইনের অবস্থা দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয় তাঁর। দেখা যায় দুটি লাইনের সংযোগস্থলের মধ্যে নাটগুলি ঢিলে হয়ে গিয়েছে। একটি নাট আগেই খুলে লাইনের পাথরের উপর পড়ে। এই লাইনের উপর দিয়ে ট্রেন ছুটে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকতে পারে। বহু মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনাও। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় আসার পরেই লাইনের পরিস্থিতি দেখিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন তিনি।

    সেই ভিডিও রেলকর্মী-আধিকারিকদের নজর এড়ায়নি। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের থেকে দ্রুত ওই জায়গায় পৌঁছে যান রেলকর্মীরা। ওই জায়গার লাইন ঠিক করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার আরও কিছু জায়গার রেললাইনও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কীভাবে খুলে গেল ওই ট্রেনলাইনের নাট? নাশকতার ছক নাকি অন্য কিছু? সেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এভাবে থাকলে ট্রেন দুর্ঘটনা হতে পারত। তেমনই মনে করছেন রেলকর্মীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)