• বর্ষার শুরুতেই পশ্চিমের ২ জেলায় স্বাভিকের প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে নাগাড়ে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টিতেই বারবার বানভাসি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি। হুগলির খানাকুল, আরামবাগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা, ঘাটাল ফের বানভাসি হয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে। DVC জল ছাড়া অব্যহত রাখায় বন্যাপরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, বর্ষার প্রথম দেড় মাসে দক্ষিণবঙ্গে যেখানে অতিবৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনাবৃষ্টির পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গ জুড়ে। আর দক্ষিণবঙ্গে ২ জেলা বাঁকুড়া ও পুরুল্যা এই সময়ে বৃষ্টি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

    উত্তরবঙ্গে সময়ের আগে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় এক সপ্তাহ দেরিতে। তবে তার আগে থেকেই জারি ছিল প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। আর বর্ষা ঢুকতেই দক্ষিণবঙ্গ একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের জেরে চলছে নাগাড়ে বৃষ্টি। যার জেরে পশ্চিমের জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। দুকূল ছাপিয়ে বইছে দামোদর, শীলাবতী, কংসাবতী, দ্বারকেশ্বর, অজয়ের মতো নদীগুলি। তার মধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা।

    আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, গত ১ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় স্বাভাবিক বা তার থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্বাভিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুল্যায়। এর মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুল্যায় বৃষ্টি হয়েছে স্বাভিকের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। আর এই ২ জেলাতেই রয়েছে পশ্চিমের একাধিক বন্যাপ্রবণ নদীর অববাহিকা।

    আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত পুরুল্যায় ৩৬৬ মিমি বৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার ওই জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৯৪ মিমি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৮৯ শতাংশ বেশি। বাঁকুড়াতে ওই সময় বৃষ্টি হয়ে থাকে ৩৯২ মিমি। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৭৯৮ মিমি। যা স্বাভিকের থেকে ১০৩ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। এই অতিবৃষ্টির জেরেই পশ্চিমের জেলাগুলির একাংশ বারবার প্লাবিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)