সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ডিভিসির বিরুদ্ধে। বারবার না জানিয়ে জল ছাড়ায় এই পরিস্থিতি দাবি মমতার। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারবার এই বিষয়ে জানিয়েছেন। তারপরও কোনও কাজ হয়নি। পাশাপাশি বাংলাকে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
লাগাতার বৃষ্টিতে বাংলার একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে খারাপ অবস্থা ঘাটালের। বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। এই পরিস্থিতে আজ, মঙ্গলবার নবান্নে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, ডিভিসি জুন মাসের ১৮ তারিখ থেকে লাগাতার জল ছাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ২৭ লক্ষ হাজার কিউসেক মিটার জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসি কারও কথা শুনছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চিঠি লিখেছি। তারপরও কোনও কাজ হচ্ছে না। না জানিয়ে জল ছাড়ছে ডিভিসি।” তাঁর আরও অভিযোগ অসম বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্য পেলেও বাংলা সেই বঞ্চিতই।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় প্রশাসন থেকে উচ্চ আধিকারিকদের নজর রাখতে বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যেখানে অবস্থা খারাপ, সেখানে তিন সচিব স্থানীয় ডিএম, এসপি নজর রাখবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হচ্ছে কন্ট্রোলরুম। যেখানে নিজে নজরদারি চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা আরও জানিয়েছেন, বন্যার সময় অনেক রোগ দেখা যায়। মোকাবিলায় দুর্গত এলাকাগুলিতে ওষুধ পাঠাবে স্বাস্থ্যদপ্তর। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। নজর রাখবেন স্থানীয় এসপি, ডিএমরা। ঘাটাল, খানাকুল, ঝাড়গ্রামে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলেন, “আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আপনাদের আর দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে না।”
এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিরোধীদলগুলিকে সহযোগিতার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দলমত, নির্বিশেষে পাশে দাঁড়ান, প্রশাসনের কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন না।” পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে বলে মমতার আর্জি, “পজিটিভ খবর করুন। গুজব ছড়াবেন না।”