দেব গোস্বামী, বোলপুর: সাইবার ক্যাফের আড়ালে জাল নথি তৈরীর কারবার! এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে বীরভূমের বোলপুর থেকে শেখ মিরাজ হোসেন ও আবদুল কুদ্দুস ওরফে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। ধৃতরা কোনও ভাবে পাকিস্তানে তথ্য পাচার করত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
STF-এর পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, জাল নথি তৈরীর সুসংগঠিত চক্রের হদিশ মিলেছে। অনলাইন ক্যাফের দোকান খুলে চলতো ভুয়ো নথি তৈরির কারবার। দু’জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি বীরভূমের বোলপুর সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভুয়া সরকারি নথি এবং ডিজিটাল সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে গোটা চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের সাত্তোর, কেন্দ্রডাঙাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই সাইবার ক্যাফের আড়ালে চলতো ভুয়া নথি তৈরির চক্র। রবিবার রাতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের চার সদস্যের একটি দল অন্যতম অভিযুক্ত শেখ মিরাজকে অনুসরণ করে ট্রেনে করে বোলপুরে আসে। সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় শেখ মিরাজ ও আবদুল কুদ্দুসকে। তাঁরপরেই সাত্তোর, কেন্দ্রডাঙাল ও বোলপুরে মাঝরাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
ধৃত শেখ মুন্নার দিদি মালা খাতুন বলেন, “সাত্তোরের বাড়িতে, দোকানে রাত এগারোটা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপরেই ভাইকে গ্রেপ্তার করে। দোকানের ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স-সহ সবকিছুই নিয়ে গেছে। ভাই অনলাইনে কাজকর্ম করতো। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়।” বোলপুরে আরও যে দোকানে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেই ইমরান আহমেদের কথায়, ” আমার দোকানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় পুলিশ। কোনও তথ্য পাইনি। আমি সহযোগিতা করেছি। আমার ব্যবহার করা ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে।” ইতিমধ্যেই ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শুধুমাত্র ভুয়ো নথি তৈরি নাকি এর পিছনে অন্য কোন চক্র জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।