• বন্যা নয় প্লাবন বলুন, ১৪ বছর ধরে লড়াই করছি, কিন্তু ফল পাওয়া যাচ্ছে না, ডিভিসি-কে দুষে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
    আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) জল ছাড়ার কারণেই বাংলার একাধিক জেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পর ফের এক বার কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিভিসি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বন্যা নয়। কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জল ছাড়ার কারণেই মানুষকে দুদর্শার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’’

    প্লাবন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সকল জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং সরকারি আধিকারিকেরা। বৈঠকের মধ্যে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাশাপাশি দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে ফল না-মেলার আক্ষেপও শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। মমতা বলেন, ‘‘ওরা জল ছেড়ে দিয়েই খালাস। পুরো ডুবিয়ে দিয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও কথা কানে নিচ্ছে না। আমাদের প্রতিনিধিদল গিয়ে দিল্লিতে বলেছে, আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি, ১৪ বছর ধরে লড়াই করছি কিন্তু ফল পাওয়া যাচ্ছে না।’’

    হিসাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ১৮ জুন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৭ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছেড়েছে ডিভিসি। তার ফলেই পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলার কিয়দংশে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রশাসনকে ত্রাণকার্যে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    মঙ্গলবার মমতা বলেন, ‘‘প্লাবিত এলাকায় যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। যত দিন পর্যন্ত না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে তত দিন তাঁদের সেখানেই রাখতে হবে।’’ ত্রাণসামগ্রী থেকে সাপে কাটার ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনম’ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও।

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘অসমে বন্যা হলে তারা টাকা পায়, কিন্তু দুর্ভাগ্য হল বাংলা পায় না। গঙ্গার ভাঙন হলেও টাকা পায় না, বন্যা হলেও টাকা পায় না। আর ভোটের সময় এলে অন্য অঙ্ক কষে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)