বাঘিনি জ়িনতকে খাঁচাবন্দি করা সেই বনকর্মীদের সম্মাননা জানাল শহরের বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থা
আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গত ডিসেম্বরে কয়েক হপ্তার অক্লান্ত অনুসরণপর্বের পরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে খাঁচাবন্দি করেছিলেন সিমিলিপালের বাঘিনি জ়িনতকে। বাকিরা বছরভর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পৃথিবীর এক মাত্র ম্যানগ্রোভ ব্যাঘ্রভূমির বাসিন্দাদের রক্ষা করেন। বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষ্যে সেই বনকর্মীদের সম্মাননা জানাল শহরের বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থা ‘সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিসার্চেস’ (শের)।
শের এর কর্ণধার তথা রাজ্য বন্যপ্রাণ উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য জয়দীপ কুণ্ডু জানিয়েছেন, ওড়িশার জঙ্গল থেকে যাত্রা শুরু করার ২৮ দিনের মাথায় মুকুটমনিপুরের অদূরে রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে ধরা হয়েছিল বাঘিনি জ়িনতকে। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বনকর্মীদের এই কৃতিত্বের প্রশংসা করেছিলেন। জয়দীপ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ, র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সেস এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের সাহস এবং সুনির্দিষ্ট সমন্বয়ের ফলেই এই সাফল্য এসেছিল। আমরা তাঁদের সেই কৃতিত্বকেই সম্মাননা জানালাম।’’
কয়েক মাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা দক্ষিণ ফরেস্ট ডিভিশনের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত লোকালয়ে একটি বাঘ ঢুকে পড়েছিল। তার হামলায় জখম হয়েছিলেন বন দফতরের এক সহায়ক। শেষ পর্যন্ত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করেছিলেন তাঁরা। সেই দলটিকেও সম্মাননা জানিয়েছে দুই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে ‘শের’ প্রয়াত প্রকৃতিবিদ, অধ্যাপক রতনলাল ব্রহ্মচারী স্মৃতি স্মারক সম্মান শুরু করেছিল। এ বার সেই সঙ্গেই বনকর্মীদের সম্মাননা জানাতে শুরু হয়েছে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্মসূচির প্রয়াত প্রধান প্রশান্ত কুমার সেনের (যিনি পিকে সেন নামেই পরিচিত) নামাঙ্কিত পুরস্কার প্রদান। বিহার ক্যাডারের আইএফএস অফিসার পিকে সেন ‘প্রোজেক্ট টাইগার’ প্রকল্পের কর্ণধার ছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। ওই প্রয়াত বন্যপ্রাণপ্রেমীর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় বনকর্মীদের দু’টি দলকে।