• মন্ত্রিসভার সিলমোহরের পরেই উদ্যোগ শুরু, বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা
    আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতার সুবিধাভোগীদের জন্য নিয়মে বদল এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ বার থেকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার অনুমোদন দেবেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। এতদিন এই কাজ করতেন ‘কন্ট্রোলার অফ ভ্যাগ্রেন্সি’। সোমবার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। লিখিত নির্দেশ না এলেও, এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা শুরু করে দিলেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জেলাভিত্তিক বার্ধক্য ভাতার আবেদনে অনুমোদন দেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। কিন্তু কলকাতার ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল ভিন্ন। ফলে বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য কলকাতার বাসিন্দদের বিধাননগরে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের একটি অফিসে যেতে হত। কিন্তু এ বার সেখানে যেতে হবে না। কলকাতায় বসেই সহজে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে।

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সোমবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরেই এই বিষয়ে একটি নীলনকশা ছকে ফেলেছেন কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকেরা। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন এ বিষয়ে তাঁর দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দ্রুত মানুষের কাছে বার্ধক্য ভাতা পেতে আবেদন জমা দিতে এবং তা কার্যকর করতে পুর কমিশনার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বরো এবং ওয়ার্ড অফিসগুলিকে কাজে লাগাতে চান। এক পুর আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এতদিন বার্ধক্য ভাতা পেতে আবেদন করতে অথর্বশরীর নিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের বিধাননগর পর্যন্ত ছুটতে হত। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বার কয়েক তাদের বিধাননগর যেতে হত। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় স্তরে বরো ও ওয়ার্ড অফিসগুলিকে সক্রিয় করে পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হতে পারে।’’

    কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, বার্ধক্য ভাতা আবেদন পেতে স্থানীয় কাউন্সিলরদের যোগাযোগকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যেহেতু এখনও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের হাতে এসে পৌঁছয়নি, তাই এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তারা। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে জমা পড়া বার্ধক্য ভাতার আবেদন পাঠানো হতো কলকাতা পুরসভায়। পরে তা কলকাতা পুরসভা থেকে হাত বদল হয়ে তা পৌঁছে যেত নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরে বিধাননগরের অফিসে। কিন্তু নতুন নিয়ম কার্যকর হলে কলকাতা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরসভার অফিসগুলি থেকে বার্ধক্য ভাতার আবেদনগুলি সংগ্রহ করে তা পাঠানো হবে কলকাতা পুরসভার ধর্মতলার সদর দফতরে। তাতে পুরসভার কমিশনার অনুমোদন দিলেই আবেদনকারীকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া শুরু করা সম্ভব হবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)