• স্বাধীনতার আলো নিয়ে এলেও অন্ধকারে নেতাজি!
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: স্বাধীনতার আলো নিয়ে এলেও অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে নেতাজিকে। বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা বাজারে থাকা সুভষচন্দ্র বসুর মূর্তিকে ঘিরে বিকেল থেকেই বসে লটারির দোকান। ফেলা হয় আবর্জনা। আর নেতাজির মূর্তি এভাবে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে থাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। স্বাধীনতা দিবস বা নেতাজির জন্মজয়ন্তী সরকারি কিংবা কোনও সংস্থার উদ্যোগে এখানে পালন করা হয় না। বাদল পাল নামে এক প্রবীণ বাসিন্দা ওই দুই নির্দিষ্ট দিনে মূর্তিটি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করে মালা পরিয়ে আসেন। অথচ পাশেই রয়েছে সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত অফিস সহ দু’টি স্কুল। 

    অনেক বছর আগে মূর্তিটি বসানো হয়েছিল। ১৯৯২ সালে পুরনো মূর্তিটি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হয়। মূর্তির দৌলতে এলাকা নেতাজি মোড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কয়েক বছর আগে এলাকাটি আলোকিত করতে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছিল। কিন্তু এখন আর আলো জ্বলে না। ফলে সন্ধ্যার পর অন্ধকার হয়ে থাকে নেতাজি মোড়। এছাড়াও বিকেল হলে মূর্তিকে ঘিরে বসে লটারির দোকান। আশপাশে ফেলা হয় আবর্জনা। এমনকী মূর্তির সামনেই ফেলা হয় বর্জ্য। 

    বিষয়টি নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। স্থানীয়রা বলেন, বারবার পঞ্চায়েত অফিসে জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। প্রধান শ্রাবণী দে ঘোষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, মিটিংয়ে রয়েছি। তবে, উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তীর মন্তব্য, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। গ্রাম পঞ্চায়েতের পরবর্তী মিটিংয়ে প্রসঙ্গটি তুলব। যাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেই উদ্যোগ নেব। 

    গয়েরকাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, বিকেল হলেই নেতাজি মূর্তিকে ঘিরে বসে লটারির দোকান। ফেলা হয় আবর্জনা। স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস কিংবা নেতাজির জন্মজয়ন্তীতেও চরম অবহেলায় থাকে মূর্তিটি। কেউই ফুল বা মালা দেওয়ার কথা ভাবেন না। 

    স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরেন শালগি বলেন, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তি অন্ধকারে রাখা হয়েছে, এটা আমাদের সকলের কাছে লজ্জার বিষয়। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের ভাবা দরকার।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)