• ছাদ ফুটো, খসে পড়ছে ফলস সিলিং, বেহাল চা নিলাম কেন্দ্র
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: টিন ফুটো। বৃষ্টি  হলে ভিতরে জল জমে যায়। খসে পড়ছে ফলস সিলিং। দরজা-জানালার অবস্থাও ভালো নয়। ১১ বছর পর চালু হলেও জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ২০০৫ সালে তৈরি হওয়া এই টি অকশন সেন্টারটি দু’বার বন্ধের পর ফের চালু হয়েছে গত ৩০ জুন। কিন্তু ওই চা নিলাম কেন্দ্রের হাল ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটি। বেহাল পরিকাঠামোর কথা স্বীকার করে কমিটির সম্পাদক প্রতাপ রাউত বলেন, গত ৩০ জুন নতুন করে জলপাইগুড়িতে চায়ের নিলাম শুরুর দিন স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ক হাজির ছিলেন। তাঁদের কাছে টি অকশন সেন্টারের বেহাল দশা তুলে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা যাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন, তার আবেদনও জানানো হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।

    যদিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জলপাইগুড়ি সদরের বিধায়ক ডাঃ প্রদীপকুমার বর্মা। ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, এখন রোগী দেখছি। এসব নিয়ে পরে কথা বলব। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের বেহাল পরিকাঠামো সংস্কারে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, ১১ বছর পর জলপাইগুড়িতে চা নিলাম কেন্দ্র চালুর ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছি। নিলাম কেন্দ্রের হাল ফেরাতেও যথাসম্ভব চেষ্টা করব। 

    নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, ১১ বছর পর জলপাইগুড়িতে চা নিলাম চালু হয়েছে। সবে তিনটি নিলাম হয়েছে। টি অকশন একটু ভালোভাবে চলতে শুরু করলেই নিলাম কেন্দ্রের পরিকাঠামো নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে দরবার শুরু করব।

    প্রথম দু’টি অকশনে সেভাবে চা বিক্রি না হওয়ায় খানিকটা মুষড়ে পড়েছিল নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটি। যদিও তৃতীয় নিলামে চা বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে ওই কমিটির সদস্যদের মুখে। ২৮ নম্বর সেলে শিলিগুড়ি টি অকশন সেন্টারে মজুত চায়ের ৭০ শতাংশ বিক্রি হয়েছে। সেখানে জলপাইগুড়িতে গত সোমবার নিলামে চা বিক্রি হয়েছে ৫০ শতাংশ। যদিও নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটির দাবি, শিলিগুড়িতে চা নিলামের যে হিসেব দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে বটলিফের পাশাপাশি বড় বাগানের চা রয়েছে। যদি শুধু বটলিফের চায়ের হিসেব করা যায়, শিলিগুড়িতে ওই চা নিলাম হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেখানে জলপাইগুড়িতে বটলিফের চা নিলাম হয় ৫০ শতাংশ।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)