• ব্রেক শ্যুতে ফুলকি , চার ঘণ্টা থমকে, গেটম্যানের বুদ্ধিতে রক্ষা পেল এক্সপ্রেস
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট ও পুরাতন মালদহ: রেলের গেটম্যানের তৎপরতায় বড়সড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেল বালুরঘাট-ফরাক্কা এক্সপ্রেস। বালুরঘাট স্টেশন থেকে ট্রেনটি রওনা দেওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্তে বিপত্তি। রেল সূত্রে খবর, চাকার সঙ্গে ব্রেক শ্যুর সংযোগ থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছিল। যে কোনও মুহূর্তে আটকে গিয়ে বড়সড় বিপত্তি ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তাছাড়া অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনাও ছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর পেরিয়েই মালদহের দেওতলার কাছে গেটে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনা নজরে আসে গেটম্যানের। বিপদ আন্দাজ করে এরপরেই স্টেশন ম্যানেজারকে খবর দেন তিনি। চালক ও গার্ডকে খবর দেওয়ার পর থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে। গাজোল স্টেশনে ওই যান্ত্রিক ত্রুটি নজরে আসে। কার্যত ওই গেটম্যানের সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার জেরেই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। দ্রুত খবর যায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে। সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের নির্দেশে ওই গেটম্যান আয়ুব আলিকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। পরেও ফের সম্মানিত করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। 

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলেন, প্রথমে গেটম্যান ওই যান্ত্রিক ত্রুটি লক্ষ্য করেন। রেলের চাকার সঙ্গে ব্রেক শ্যুর ঘর্ষণের জন্য স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছিল। যেহেতু গেটম্যান পুরো বিষয়টি নজরে এনেছেন এবং রেলকে সতর্ক করেছেন, তাই তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। 

    রেল সূত্রে খবর, গেটম্যান আয়ুব আলি মালদহ জেলার দেওতলা রেল স্টেশনের অন্তর্গত একলাখী-বালুরঘাট ১৭ নম্বর গেটে ডিউটি করছিলেন। এদিকে সোমবার বিকেল পাঁচটায় বালুরঘাট স্টেশন থেকে রওনা হয়েছিল বালুরঘাট ফরাক্কা এক্সপ্রেস। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ওই ট্রেনটি দেওতলার দিকে আসে। এরপরেই প্রতিদিনের মতো কর্তব্যরত অবস্থায় রেলগেট নামিয়ে গেটম্যান আইয়ুব রেলের চাকার দিকে নজর রাখছিলেন। তিনি  দেখেন. চাকার সঙ্গে ব্রেক শ্যু ঘষছে বলে স্ফুলিঙ্গ বেরচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দেওতলা স্টেশন ম্যানেজারকে খবর দেন। এরপর স্টেশন ম্যানেজার  পরবর্তী গাজোল স্টেশনের ম্যানেজারকে খবর পাঠান। গাজোল স্টেশনে ট্রেনটির দাঁড়ানোর কথা না থাকলেও থামানো হয় ৬টা ১৮ মিনিটে। পরে রেলের চালক এবং ইঞ্জিনিয়াররা যান্ত্রিক গোলযোগ খতিয়ে দেখেন। মালদহ থেকে ফের ইঞ্জিন এনে রাত ১০টা ২৬ মিনিটে পুনরায় ভাতিন্ডার উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই হইচই শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে।

    বালুরঘাটের এক যাত্রী সঞ্জীব রায় বলেন, প্রথমে কী কারণে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল জানতে পারিনি। পরে সব শুনে খুব আতঙ্কিত হয়েছিলাম।
  • Link to this news (বর্তমান)