সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বাণগড়ে পর্যটকদের হিসেব রাখা শুরু হল। জুন মাস থেকে গঙ্গারামপুরের ঐতিহাসিক এই পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আগ্রহ কেমন থাকছে, তা দেখে নিতে চাইছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। সেইমতো পর্যটন কেন্দ্রটির পরিকাঠামো উন্নয়নে পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এএসআইয়ের রায়গঞ্জ ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুরের এই ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্রে শুধু জেলার মানুষ নয়, ভিনরাজ্যের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন। সেই তথ্য মিলেছে এএসআইয়ের রেজিস্টারে। যদিও পর্যটকদের জন্য ন্যূনতম পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা এখনও করতে পারেনি সংস্থাটি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণগড়ের উন্নয়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এএসআই। জেলা প্রশাসনের রেকর্ড অনুযায়ী, প্রায় এক হাজার একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাণগড়ের ইতিহাস। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি হেফাজতে নিতে প্রাচীরের কাজ শুরু করে এএসআই। কিন্তু জমিজটের কারণে সেই কাজ থমকে গিয়েছে। স্থানীয়রা বাণগড়ের জমি ছাড়তে নারাজ। একাধিকবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পরেও চিঁড়ে ভিজছে না। এএসআই রায়গঞ্জ ডিভিশনের আধিকারিক বিকাশ কুমার বলেন, গঙ্গারামপুর বাণগড়ে ঠিক কী ধরনের কাজ করলে পর্যটকরা উপকৃত হবেন, তার জন্য আমরা তালিকা তৈরি করছি। পর্যটকদেরও মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। বর্তমানে জমিজটের কারণে কাজ থমকে গিয়েছে। সমস্যা কবে মেটে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি। এখন সরকারি সংস্থাটি বলপ্রয়োগ করে উন্নয়নের কাজ করবে, নাকি মাঝপথেই বন্ধ করে দেবে, তার সদুত্তর মেলেনি। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে করতে গেলে প্রথমে জমির সমস্যা দেখা যায়। এএসআইয়ের জায়গা দখল করে কীভাবে বাড়িঘর নির্মাণ ও চাষাবাদ চলছে?
সুকান্তর সংযোজন, জমি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। আমরা নিয়মিত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। দেখা যাক, বাণগড়ের উন্নয়নের কাজ কবে সুষ্ঠুভাবে করতে দেয়।
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, আমরা চাই জেলার ঐতিহাসিক জায়গার উন্নয়ন হোক। জমির সমস্যা নিয়ে সুকান্তবাবু প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দপ্তরই ভালো বলতে পারবে। নিজস্ব চিত্র