• কাদায় দাঁড়িয়ে রাস্তা পাকা করার আর্জি জানাল প্রাথমিক পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হবিবপুর: ‘আশ্বাস বাদ দিয়ে এবার অন্তত রাস্তা নির্মাণ করা হোক’। জলকাদা ভরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে প্রশাসনের কাছে এমনই আবেদন করল রাধাকান্তপুর গ্রামের প্রাথমিক পড়ুয়ারা। হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুরে রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। জলকাদা ভরা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে চরম সমস্যায় পড়ে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। রোজই কাদা লেগে যায় ইউনিফর্মে। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। খারাপ রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এই সমস্যা নিয়ে চলতে হচ্ছে রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর সহ মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক একবার খোঁজ নিয়েও দেখেন না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তনুশ্রী বিশ্বাস নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, এই রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয় এবং টিউশনে যেতে হয়। কাদা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে প্রচুর সমস্যা হয়। অবিলম্বে পাকা রাস্তা তৈরি করে সমস্যার সমাধান করা হোক। 

    যদিও এ বিষয়ে বিধায়ক জোয়েল মুর্মু বলেন, শুরু থেকেই রাস্তাটি নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। যেটি রাজ্য সরকারের পক্ষেই সমাধান করা সম্ভব। বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। রাস্তার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট বয়কট করেছিলেন। সেখানে কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। বিধায়কের তরফ থেকেই ওই এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে বিভিন্ন মানুষকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধে পেতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

    জানা গিয়েছে, বর্ষা শুরু হতেই রাস্তা বেহাল হয়ে যায়। গত দু’দিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায়। বরাবরই এলাকার জগন্নাথপুর খেয়াঘাট থেকে পান্নাদিঘি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তার পুরোটাই কাঁচা ও বেহাল। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, টাঙ্গন নদীর ওপর ব্রিজ সহ এই রাস্তা পাকা করা হোক। একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। রাস্তা খারাপের কারণে বাসিন্দারা প্রায় ৪০ কিমি ঘুরে হবিবপুরে যান। রাস্তার দাবিতে গ্রামের মহিলারা পঞ্চায়েত ও গত লোকসভা ভোট বয়কট করেন। 

    এরপর প্রশাসনিকভাবে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয় বলে দাবি। এবার রাস্তা নির্মাণের দাবিতে পথে নামল গ্রামের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এদিন স্কুলের পোশাক পড়ে কাদা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রীতিমতো হাতজোড় করে প্রশাসনকে আবেদন জানাল তারা।

    জেলাশাসক  নিতিন  সিঙ্ঘানিয়া বলেছেন, রাস্তার জন্য ৫.২৯ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)