• ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা, গাদকারিকে চিঠি ইউসুফের
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রচুর খানাখন্দ। প্রতিটি গাড্ডায় বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ভারী যান চলাচলের জেরে রাস্তায় ঢেউ খেলে গিয়েছে। নবগ্রাম থেকে বেলডাঙা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশের মারাত্মক অবস্থা। জাতীয় সড়কের এই অংশে যাতায়াত করতে গিয়ে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দ্রুত মেরামতির জন্য এবার কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারিকে চিঠি লিখলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবেদন জানালেন তৃণমূল সাংসদ। 

    ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রাস্তাটির বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙেচুরে একাকার। ফলে যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভারী যানবাহন ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে চালকরা প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এদিনই বেলডাঙায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা জাতীয় সড়কের খানাখন্দ পাশে থাকা ইমারতি সামগ্রী দিয়ে গর্ত ভরাট করেন। 

    সাংসদ বলেন, বর্ষাকালে জাতীয় সড়কের মতো রাস্তাগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। নবগ্রাম থেকে বেলডাঙ্গা পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অনেক জায়গায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেখানে জল জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই রাস্তার অবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেজন্য রাস্তার নির্মাণ কাজের মান এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমি নীতিনজিকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, উনি দ্রুত পদক্ষেপ করবেন। 

    তৃণমূল বিধায়ক তথা বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলার লাইফ লাইন এই জাতীয় সড়ক। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সড়কপথে যোগাযোগ অন্যতম এই জাতীয় সড়ক। বর্তমানে তা যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা এবং জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব স্পষ্ট হয়েছে। এর আগেও আমাদের সাংসদ এই রাস্তাটির গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রের সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি করেছেন। যাতে মুর্শিদাবাদবাসীর সুবিধার্থেই এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হয়। শুধু মেরামত করলে হবে না, রাস্তার বেশকিছু জায়গায় জল নিকাশির উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। 

    যদিও সংসদের এই চিঠিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বহরমপুরের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাস। তিনি বলেন, জাতীয় সড়কের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদগ্রীব। বহরমপুরের এই পরিযায়ী সাংসদ এলাকায় না এসে চিঠি পাঠাচ্ছেন। উনি চিঠি না পাঠালেও জাতীয় সড়ক যথাসময়ে সংস্কার হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা দেশে সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)