• বেহাল বার্নিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সংস্কারের দাবি
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: বেহাল অবস্থা বার্নিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।‌ রাতবিরেতে ডাক্তার পেতে হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় লোকজনদের। কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে ওঠে। চারপাশে উঁচু পাঁচিল না থাকায় দুষ্কৃতীদের অবাধ আনাগোনা সেখানে। সন্ধ্যার পরই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশেপাশে মদের ঠেক বসে যায়। চিকিৎসা পরিষেবা ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার জেরে বার্নিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কার্যত ধুঁকছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাতে ডাক্তার থাকে এমন ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভগ্নদশা পুনরুদ্ধার করা হোক। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। 

    তেহট্ট-২ ব্লকের অন্তর্গত এই বার্নিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আশেপাশে আর  কোনও বড় স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা নেই। বিলকুমারি, পলসুন্ডা-১, পলসুন্ডা-২, হাঁসপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরই নির্ভরশীল। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গুরুত্ব অপরিসীম। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা যায় না। কারণ রাতে ওখানে কোনও ডাক্তার থাকেন না। তখন তাঁদের পাঁচ-দশ কিলোমিটার দূরে অন্যত্র যেতে হয়। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে আলোর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। আর সেই সুযোগেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে।‌ সন্ধের পর মদ্যপদের উৎপাত বাড়ে। ফলে রাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ভয় পান গ্রামের লোকজন। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারপাশে উঁচু পাঁচিল নেই।‌ পাশাপাশি হাসপাতালে চত্বরের মধ্যেই অবৈধ পার্কিংও চোখে পড়ে। জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পাঁচিল দিয়ে ঘেরার জন্য জেলা পরিষদের তরফ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার মূল দরজাও রয়েছে নামমাত্রই। অত্যন্ত ছোট হওয়ায় অনায়াসেই তা টপকে যে কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবে। 

    ওই এলাকার বাসিন্দা তথা নদীয়া জেলার পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ প্রণয় ঘোষচৌধুরী বলেন, রাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক থাকেন না। ফলে গ্রামের লোকজনের সমস্যা হয়। হাসপাতালের চারপাশে সেইভাবে পাঁচিল নেই। বিষয়টি এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি এবিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি সমস্যার সমাধাধের আশ্বাস দিয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)