দ্বারকা নদীর জলস্তর বাড়ায় ডুবে গেল মহম্মদবাজারে দু’টি কজওয়ে
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: টানা বৃষ্টি ও তিলপাড়া জলাধার থেকে অনবরত জল ছাড়ায় দ্বারকা নদের জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। তার জেরে মহম্মদবাজার ব্লকের হিংলো এবং পুরাতন পঞ্চায়েত এলাকায় কজওয়ে জলের তলায় চলে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই দু’টি কজওয়ে দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিস ও প্রশাসনের তরফে নজরদারি চলছে। দু’টি কজওয়ে সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা ঘুরপথে চলাচল করছেন।
হিংলো পঞ্চায়েতের পচ্চনপুর এলাকায় দ্বারকা নদের উপর কজওয়ে রয়েছে। এদিন সকালে ওই কজওয়ে হয়ে পাথর খাদানের পথে একটি ডাম্পার রওনা হয়েছিল। তারপর আচমকা দ্বারকা নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ডাম্পারটি সেখানে আটকে পড়ে। তবে চালক ও খালাসি রক্ষা পেয়েছেন। বর্তমানে ওই কজওয়ে ধরে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে কজওয়ে লাগোয়া একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে সেতু চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। দ্রুত অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজ শেষ করার দাবি উঠেছে। হিংলো পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, কজওয়ের পাশেই বছর দু’য়েক আগে সেতু তৈরি হয়েছে। যদিও জমিজটের কারণে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শেষ না হওয়ায় ওই সেতুর উপর দিয়ে এখনও চলাচল করা যাচ্ছে না।
পুরাতন গ্রাম ও সেকেড্ডার মাঝ বরাবর দ্বারকা নদের উপর থাকা কজওয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সংলগ্ন এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। মূলত পুরাতন গ্রাম, সেকেড্ডা, দেঘলগ্রাম, শালুকা, বাতাসপুর, শোৎশাল, মল্লারপুর সহ প্রায় একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা ওই কজওয়ের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও মহম্মদবাজার থেকে রামপুরহাট যাতায়াতেও ওই কজওয়ে পার হন। পুরাতন গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আসগর বলেন, দ্বারকা নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কজওয়ে ডুবে গিয়েছে। প্রায় ১০কিলোমিটার ঘুরে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। আমরা খুবই সমস্যায় রয়েছি। হিংলো পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, কয়েক বছর আগে সেতু নির্মাণ হয়েছে। যদিও অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি না হওয়ায় ওই সেতু দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কজওয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই, অতি দ্রুত সেতুটি চলাচলযোগ্য করে তোলা হোক। মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাসিনী মুর্মু বলেন, হিংলো পঞ্চায়েতের পচ্চনপুরে সেতু নির্মাণ হলেও অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ জমিজটের জন্য এখনও করা সম্ভব হয়নি। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আশা করছি, অতি দ্রুত সেই কাজ সম্পন্ন হবে। দ্বারকার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দু’টি কজওয়ে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। • নিজস্ব চিত্র