বর্ষার জল ঢুকল বনগাঁর কালমেঘা স্কুলে, ক্লাস করতে সমস্যায় পড়ুয়ারা
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকে পড়ল স্কুলে। সোমবার এই ঘটনা ঘটে বনগাঁ ব্লকের কালমেঘা জিএসএফপি স্কুলে। মঙ্গলবার স্কুলে এসে জলমগ্ন ক্লাসরুম দেখতে পান শিক্ষকরা। স্কুলের বারান্দা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে জল থই থই অবস্থা। জল ডিঙিয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এক শ্রেণির পড়ুয়াদের অন্য শ্রেণিতে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনা করতে অসুবিধায় পড়ছে পড়ুয়ারা। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দিয়া বৈরাগী জানায়, জল পেরিয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে। পোকামাকড় আর সাপের ভয় লাগছে।
কালমেঘা জিএসএফপি স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০ জন। শিক্ষকের সংখ্যা ৬ জন। প্রি-প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এখানে। এদিন বৃষ্টিতে স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নাঘরেও জল ঢুকে যায়। রাঁধুনি বন্দনা বৈরাগী বলেন, বৃষ্টিতে রান্না করতে অসুবিধা হয়। টিনের চাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভয় হয়, কখন খাবারে পোকামাকড় পড়বে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক সপ্তর্ষি হোড় বলেন, স্কুলে এই জল-জমার সমস্যা সমাধানে কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম। কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা এবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। এবিষয়ে ঘাটবাওর পঞ্চায়েতের প্রধান আনিসুর জামান মণ্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে বনগাঁ পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ পরিবার। পুরসভার ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল লালপোল এলাকায় হাঁটুসমান জল। এলাকার বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সুভাষপল্লি, বকসিপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। মঙ্গলবার জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি জানান, বেশ কিছু বাসিন্দাকে জলমগ্ন এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইছামতী নদী সংস্কার না হওয়ায় জল জমার সমস্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন গোপালবাবু।