বাঙালি হেনস্তায় পথে মমতা, ‘সতর্ক করে গেলাম, যদি না থামেন…’, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি ‘দিদি’র
প্রতিদিন | ১৬ জুলাই ২০২৫
বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্তা। প্রতিবাদে রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি মাথায় কলেজ স্কোয়ার থেকে রাজপথে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল। শেষ ডোরিনা ক্রসিংয়ে। রাস্তার দুপাশে পাহারায় ১৫০০ পুলিশ কর্মী। পদযাত্রা শেষে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। জানুন প্রতিমুহূর্তের তথ্য ।
দুপুর ৩.০৭: “সতর্ক বার্তা দিয়ে গেলাম। মারবও না কাটবও না। আপনার মতো ভাষাও বলব না। যদি না থামেন, আগামিদিনে আপনাদের থামাতে কী করতে হবে দেখে নেব”, হুঁশিয়ারি মমতার। বললেন, “আক্রমণ করলে প্রত্যাঘাত হবেই, জবাব দেব।”
দুপুর ৩.০৬: দিন কয়েকপরই ২১ জুলাই। তা সত্ত্বেও কেন এদিন পথে? নিজেই কারণ জানালেন মমতা। বলেন, “মাঝে মাঝে জবাব দিতে হয়।”
দুপুর ৩.০১: “আমাদের পুরসভায় ৯০ শতাংশ কর্মী বিহারের। ওরা কাজ করতে সক্ষম, তাই করে। আমরা কি কাউকে বের করে দিয়েছি?”, প্রশ্ন মমতার।
দুপুর ২.৫৭: বাংলার লোককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখে, বাঙালি বিজেপিকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে: মমতা।
দুপুর ২.৫২: কে শিঙাড়া খাবে, জিলিপি খাবে, পোহা খাবে, তাতে আপনাদের কী? আপনারা বলার কে? ওস্তাদ হয়ে গেছে সব! বড় নেতাদের থেকে তো ছোট নেতারা বেশি। মঞ্চ থেকে মমতা স্লোগান তুললেন, খেলা হবে।
দুপুর ২.৫১: “ভারত সরকার একটি নোটিফিকেশন দিয়েছে। সেটি আমরা চ্যালেঞ্জ করব। লুকিয়ে লুকিয়ে (নোটিফিকেশন) করে যেখানে বিজেপি আছে সেখানে পাঠিয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যাকেই সন্দেহ হবে, বাংলায় কথা বলে, তাঁকে অ্যারেস্ট করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও।” ফুঁসে উঠে মমতা বললেন, “এটা তো ভয়ংকর। অবৈধভাবে আইন করছেন।”
দুপুর ২.৪৫: “বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না”, সাফ জানালেন মমতা।
দুপুর ২.৪০: মমতা বললেন, “কথায় আছে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়… ওরা বলেছে বাংলায় কথা বললেই অ্যারেস্ট করুন। আমরা সব ভাষাকে সম্মান করি। যারা ভারতের নাগরিক তাঁদের সকলকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু বাঙালির অপমান মানব না। অত্যাচার সহ্য করা হবে না। জমিদারি নাকি? বাংলা বললেই বাংলাদেশি রোহিঙ্গা বলবেন? হেনস্তা করা হচ্ছে যাদের সকলের কাগজপত্র আছে। শুনে রাখুন, যারা এখান থেকে কাজ করতে বাইরে যায়, দক্ষতা আছে বলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ওরা বাংলায় থাকলে অনেক ভালো থাকত। কিন্তু তাঁরা গিয়েছে, কোন অধিকারে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হবে?”
দুপুর ২.৩৫: মঞ্চ থেকে ডিভিসিকে তোপ মমতার। বললেন, “প্রচন্ড বর্ষায় ভিজে এসেছেন, এটা প্রকৃতির দান। বহু মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরও না জানিয়ে বারবার জল ছাড়ছে।”