আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাথরপ্রতিমার জি-প্লট দাসপুর এলাকায় ভেসে উঠল বিশালদেহী কুমীর। পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন নৌকার যাত্রীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবনের নদী বেষ্টিত পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর এলাকায় বুধবার দেখা গেল এই দৃশ্য।
জানা গিয়েছে, এদিন অন্যদিনের মতো নৌকায় যাত্রী পারাপার চলছিল। হঠাৎ দেখা যায় কুলে অপেক্ষমান এক বিশালদেহী কুমীর। যা লম্বায় কম করেও ২০ ফুট বলে যাত্রীদের দাবি। কুল থেকে নদীতে নৌকার দূরত্ব থাকলেও জলে সেই দূরত্ব অতিক্রম করা কুমীরের কাছে কিছুই নয়। নৌকার এক যাত্রী বলেন, জল ও জঙ্গলের মধ্যে এই সুন্দরবন। সেখানে কুমীর দেখাটা খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু এরকম বিশাল আকৃতির কুমীর এর আগে সুন্দরবনের বাসিন্দারা দেখেছেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।
আরও পড়ুন: মদ খেয়ে হাতুড়ি দিয়ে একের পর এক ঘা, রক্তে ভাসছে বাবা-মায়ের দেহ, চুপচাপ বসে রইল ছেলে...
যাত্রীদের কথায়, সুন্দরবনের ভগবতপুর কুমীর প্রকল্পে এই ধরনের বিশাল আকৃতির কুমীর দেখা যায়। তবে এই নদীতে যেহেতু সব সময়ই নৌকা বা অন্যান্য জলযান চলে সেজন্যে এখানে এতবড় কুমীর কীভাবে এল তা নিয়ে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে তাঁদের। চিন্তিত এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের কথায়, নদীতে বা নদীর পাড়ে তাঁদের মাঝেমাঝেই প্রয়োজনমতো যেতে হয়। ফলে এই ধরনের কুমীরের আগমন যদি ঘটতে থাকে তবে সেটা তাঁদের জন্য চিন্তার বিষয় বটে। যাত্রীদের কথায়, কুমীরটি যেভাবে সতর্ক ভঙ্গিতে বসে ছিল তাতে মনে হয়েছে সে শিকার ধরার জন্যই অপেক্ষা করছিল। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামগঙ্গা রেঞ্জের বন কর্মীরা।
সম্প্রতি হুগলির বাঁশবেড়িয়ার পঞ্চাননতলা এলাকায় গঙ্গায় দেখা মিলেছে কুমীরের। বাঁশবেড়িয়া পঞ্চাননতলায় ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর নিচে গঙ্গার জলে কুমীর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গঙ্গায় যেহেতু অনেকেই স্নান করতে বা অন্য কাজে যান সেজন্য বাসিন্দাদের সচেতন করতে শুরু হয় মাইকে প্রচার। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার লাগোয়া চুঁচুড়া পুরসভা। রয়েছে একাধিক গঙ্গার ঘাট। সেখানে স্নান ছাড়াও অনেকেই আসেন পুজো বা জল নিতে। এছাড়াও নানারকম পুজো ও অন্যান্য অনুষ্ঠান ঘিরেও ভালো ভিড় হয়।
খবর পাওয়ার ওইদিন বাঁশবেড়িয়া ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ঘুরে যান স্থানীয় পুরপ্রধান ও বন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা সতর্ক করেন স্থানীয় ও মৎস্যজীবীদের। জানিয়ে দেন কুমীর বা ঘড়িয়াল যাই দেখা যাক না কেন দ্রুত যেন আধিকারিকদের ফোন করে জানানো হয়।
বাঁশবেড়িয়ার পর একই ঘটনা ঘটে কোন্নগরেও। গঙ্গায় ফের দেখা মিলেছিল কুমিরের, আর তাতেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গঙ্গার পাড়ের এলাকাগুলিতে। কোন্নগর ফেরিঘাট, উত্তরপাড়া থেকে রিষড়া—সব এলাকাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ব্যাপক হারে। সাধারণ মানুষ গঙ্গায় নামতেই ভয় পাচ্ছিলেন রীতিমত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে, যেখানে গঙ্গার বুকে ৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা একটি কুমিরকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। কোন্নগর ফেরিঘাটে কর্মরত এক কর্মচারী শুভাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, লঞ্চে যাত্রী পারাপারের সময় তারা জল থেকে উঠে আসা কুমিরটিকে স্পষ্ট দেখতে পান এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন।