• ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ দেখাও…’, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুরুলিয়ায় বন মহোৎসব...
    আজকাল | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • অরিন্দম মুখার্জি: ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ দেখাও সবুজের মাঝে জগতের বিবেক জাগাও।‘ মূল মন্ত্র তো এটুকুই। একথা কে না জানেন, সবুজ না বাঁচলে এই ইঁট-কাঠ-পাথরের সভ্যতা আগিয়ে যাবে ধ্বংসের দিকে। দিনে দিনে নগরায়ন, সভ্যতার অগ্রগতির মুখে দাঁড়িয়ে যে পরিমাণে বন ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে, তাতে বড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীরা। প্রকৃতির রক্ষা জরুরি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারেবারে বলেছেন সেকথা। 

     ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ দেখাও সবুজের মাঝে জগতের বিবেক জাগাও’ ধারণা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায়, উদ্যোগে ও পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পুরুলিয়া জেলার ঝালদা ১ নম্বর ব্লক সংলগ্ন মাঠে বুধবার বন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক এবং জনসাধারণকে নিয়ে এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। এই পদযাত্রায় জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রত্যেকে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ‘সবুজকে বাঁচাও’ এই মন্ত্র নিয়ে পথে নামেন। লক্ষ্য, এই মূল মন্ত্র আরও বহু মানুষের কানে পৌঁছে দেওয়া। যাতে সময় থাকতেই সজাগ হতে পারেন প্রতিটি মানুষ।  

    আরও পড়ুন: শিকারের অপেক্ষায় ওৎ পেতে বিশাল আকৃতির কুমীর, সামান্য দূরেই নৌকায় যাত্রীরা, সুন্দরবনে হাড়হিম দৃশ্য

    প্রত্যেকে এই পদযাত্রায় একটি কথাই মন্ত্রের মতন উচ্চারণ করছিলেন। তা হল, ‘সবুজকে বাঁচাও না, হলে আমরা সকলে ধ্বংস হয়ে যাব।‘ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই পদযাত্রায় কেবল স্থানীয় সাধারণ মানুষ সামিল হননি। উপস্থিত ছিলেন  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ,  পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো। পদযাত্রায় পা মিলিয়েছেন পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় , বাগমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো ,বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সরেন এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো-সহ পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন আধিকারিকগণ।  এই বনমহোৎসবের পদযাত্রায় সবুজ বাঁচানোর জন্য দীর্ঘ পথ পদযাত্রা করেন তাঁরা।

    পদযাত্রা শেষে একটি ছোট অনুষ্ঠানও করেন সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী বীরবা হাঁসদা  বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘আমাদের সকলকে মিলে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই সবুজায়ন যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি, যদি যত্রতত্র গাছ কেটে ফেলি, তাহলে এই ফল ভুগতে হবে আমাদেরই। আগামী দিনে আমরা যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব আমরা হব, তার কিছু নিদর্শন আমরা এর মধ্যেই অনুভূত করতে পারছি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমের দ্বারা। আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিমুহূর্তে,  এই সবুজকে আমাদের সকলকে মিলে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ‘

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জঙ্গলে বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলি। কেউ যেন জঙ্গল থেকে গাছ কেটে না পালাতে পারে বা কোন চোরা শিকারির দল রাতের অন্ধকারে কোনওভাবে প্রবেশ করে গাছ কাটতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।  বিশেষ করে পুরুলিয়া জেলা এতটাই সবুজ এবং এত এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাওয়া যায় যার মধ্যে বেশকিছু গাছ অতি মূল্যবান। সবকিছু মাথায় রেখেই, পুরুলিয়া জেলার প্রতি আমার বিশেষ নজর থাকে সবসময়।‘
  • Link to this news (আজকাল)