নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির সফরের মধ্যেই বাংলা বিদ্বেষী ইস্যুতে গর্জে উঠল জোড়াফুল শিবির। বুধবার তারা তরাই থেকে ডুয়ার্স, কোচবিহার থেকে অসম সীমান্ত সর্বত্র মিছিল করে। এনআরসি বিরোধী পোস্টার, ব্যানার নিয়ে শামিল হয় হাজার হাজার মানুষ। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এমন মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এনিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফর এদিন শেষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এনআরসি নিয়ে হিন্দুদের অভয় দেন। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেন। এমন প্রেক্ষাপটে এদিন জেলায় জেলায় বাংলা বিদ্বেষী মিছিল করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জোড়াফুল শিবির। চটহাট বাজারে বিশাল মিছিল করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (সমতল)। মিছিলে দলের জেলা চেয়ারম্যান সঞ্জয় টিবরেওয়াল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, দলের রাজ্য নেতা শঙ্কর মালাকার প্রমুখ ছিলেন। জেলা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলা বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে চলছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষায় কথা বলায় লাঞ্ছিত হচ্ছেন বাঙালিরা। কেন্দ্রীয় সরকার এমন বিদ্বেষ বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষের প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের মিছিল জনস্রোতের চেহারা নেয়। শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোডের দমকল মোড় থেকে মিছিলেন সূচনা হয়। চৌপথিতে শেষ হয়। সেখানে মঞ্চ বেঁধে সভা করা হয়।
তাতে দলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক, রাজ্য সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর প্রমুখ ছিলেন।
ডুয়ার্সের ক্রান্তিতেও প্রতিবাদ মিছিল হয়। বিকেলে ক্রান্তি ব্লকের মৌলানি থেকে লাটাগুড়ি পর্যন্ত মহামিছিল করে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল। মিছিলে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ, চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক প্রমুখ পা মেলান। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আমাদের ভাইবোনেরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। কাজেই এই লড়াই শুধু রাজনীতির নয়, জাতিসত্তার সম্মানের লড়াই।
কোচবিহার শহর ও অসম সংলগ্ন তুফানগঞ্জে প্রতিবাদ মিছিলে এনআরসি বিরোধী স্লোগান ওঠে। কোচবিহার শহরে লালদিঘির পাড় থেকে মিছিলের সূচনা হয়।
তাতে জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া সহ নেতৃত্ব অংশ নেন। তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ ময়দান থেকে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জোড়াই মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। হলদিবাড়িতেও মিছিল হয়।