নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি। দোকানদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নিতে আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও। ওই বৈঠকে ড্রাগ কন্ট্রোল, স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিসকে ডাকা হয়েছে।
বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, অভিযুক্ত দোকানদারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। সেইসঙ্গে আর কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কি না, সেব্যাপারে অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গড়ালবাড়ি পঞ্চায়েতের শোবারহাটে একটি দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে, এই খবর পেয়ে মঙ্গলবার হানা দেন বিডিও। ওই দোকানে গিয়ে অভিযোগের হাতেনাতে প্রমাণ পান তিনি। দেখেন, দোকানে অনেক ওষুধ রয়েছে, যেগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিছু ওষুধ ছিল, যেগুলির মেয়াদ ফুরোতে অল্প কিছুদিন বাকি। ওষুধের পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য পাওয়া যায় দোকানে। এরপরই বিডিও বিষয়টি ড্রাগ কন্ট্রোল এবং ফুড সেফটি দপ্তরকে জানান। সেইমতো কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। তাঁরা গিয়েও ওই দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের পাশাপাশি ‘নট ফর সেল’ লেখা বেশকিছু ওষুধ পান। এরপরই ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা ওই দোকানটি সিল করে দেন। দোকানে তালা মেরে চাবি তুলে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে। এবার ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দোকানে যাবতীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ খাদ্য সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ। গ্রামের মানুষ সেসব কেনার সময় না দেখে নিয়ে যান। নিজেকে হাতুড়ে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেওয়া ওই দোকানদার এলাকার মানুষকে ওষুধপত্র দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁর দোকানে কীভাবে ‘নট ফর সেল’ লেখা ওষুধ এল, কেনই বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে রাখা হয়েছিল, সেসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্ত দোকানদার দাবি করেন, তাঁর দোকানে অনেক সামগ্রী রয়েছে। কোনটার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, দেখার সময় পান না তিনি। তবে, মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও ওষুধ বিক্রি করেন না তিনি।