• দুবরাজপুরে শাল নদীর কজওয়ে ভাসল, দুর্ভোগ
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জলের তোড়ে দুবরাজপুরের যশপুরে শাল নদীর উপর থাকা কজওয়ে ভাসল। ভেঙে গিয়েছে কজওয়ের একাংশ। তার জেরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পুলিস-প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। নদীর দু’ধারের প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়ারা বিপাকে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরাও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানীয়দের পৌঁছতেও বেগ পেতে হচ্ছে। প্রয়োজনে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ওই কজওয়ে সংস্কারের দাবি তুলেছেন। 

    বুধবার জেলা পরিষদের সদস্যা মর্জিনা বিবি, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রফিউল হোসেন খান ওই এলাকা পরিদর্শনে যান। সেসময় স্থানীয় বাসিন্দারা কজওয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যার হাতে একটি দাবিপত্রও তুলে দেন। তিনি স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। যদিও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। জেলা পরিষদ সদস্যা বলেন, কজওয়ে ভেঙে পড়ায় স্থানীয়রা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁরা কজওয়ে সংস্কারের বিষয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন। সভাধিপতির সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

    নিম্নচাপের জেরে টানা ভারী বৃষ্টি ও হিংলো ড্যাম থেকে জল ছাড়ার ফলে শাল নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। নদীতে জল বাড়ায় দিনকয়েক আগে যশপুর পঞ্চায়েতের খোয়াজ মহম্মদপুর ও বুধ গ্রামের মাঝে থাকা কজওয়ের একাংশ ভেঙে গিয়েছে। শাল নদীর দু’ধারের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কজওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই ঘুরপথে চলাচল করছেন। তবে কেউ কেউ আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে যাতায়াত করছেন। সকলেই চাইছেন দ্রুত কজওয়ে সংস্কার করা হোক। কজওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার স্কুলপড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছে। তারা স্কুলে যেতে পারছে না। জমিতে পৌঁছতে চাষিদের বেগ পেতে হচ্ছে। কজওয়ে সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের গণস্বাক্ষর করা দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে। 

    এদিন শুরুতেই জনপ্রতিনিধিরা এলাকা ঘুরে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। সেইসঙ্গে তাঁদের আশ্বস্তও করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ ইসরাফি বলেন, কজওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের হেতমপুর হয়ে ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত কজওয়ে সংস্কার করা হোক।
  • Link to this news (বর্তমান)