• ধানতলা থানার পিছনেই বেআইনি মদের ঠেক! রাত অভিযানে ফাঁস
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ঘড়ির কাঁটা তখন দেড়টা ছুঁই ছুঁই। মাঝ রাত। ধানতলা থানার আলোয় দেখা যাচ্ছে, ডানদিকের গলি ঢুকে গিয়েছে মার্কেট। সেই গলি দিয়ে কিছুটা গেলেই কিছুটা খোলা জমি। বাঁ দিকে থানার শেষপ্রান্তের দেওয়াল। তার গা ঘেঁষা একটা বাড়ি। সেখানেই দেদার বিক্রি হচেছে বেআইনি মদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এটাই এখানকার সবচেয়ে বড় কাউন্টার! এটি একটি উদাহরণ। রাত নামলেই ধানতলা থানা এলাকাজুড়েই এরকমই একাধিক বেআইনি মদ-গাঁজার ঠেক চলে রমরমিয়ে। পর্দা ফাঁস করল ‘বর্তমান’। 

    অভিযান এক:   এলাকায় পরিচিত লালা (নাম পরিবর্তিত) দা’র বাড়িটাই  ধানতলা বাজারের সবচেয়ে বড় বেআইনি মদ ব্যবসার ঠেক। তাও আবার খোদ থানার ঠিক পিছনেই! রাত আটটা হোক বা রাত ১টা— ব্ল্যাকে মদ বিক্রির এক নিরাপদ ঠিকানা। বাড়ির বারান্দায় পেটি বোঝাই মদ। কিনলে দু’টি  প্লাস্টিকের গ্লাস ফ্রি। এলাকার সবাই জানে, থানার পিছনে ঠেক থাকলেও হকেন নীরব পুলিস? 

    অভিযান দুই: পানিখালি মোড়। ধানতলা থানা এলাকার অন্যতম জনবহুল এলাকায। বিভাস (নাম পরিবর্তিত) দা’র বাড়িতে রাত ১১টা হোক বা তারও পর, বাড়তি পয়সা দিলে মদের বোতল মিলবে ছোট থেকে বড়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত! পুলিস জানে? স্থানীয় সূত্র বলছে, সবই জানে ওরা।  

    অভিযান তিন: আড়ংঘাটা রেলওয়ে ক্রসিং। সামনে রেস্টুরেন্ট অথচ ভিতরে মদের ঠিকানা। রাত বারোটা পর্যন্ত আবদার করলে খানিকটা শার্টার তুলে হাত গলিতে বের করে দেওয়া হয় মদের বোতল। কেবল কড়কড়ে কিছু বাড়তি টাকা গুনলেই হল। 

    প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল রানাঘাট জেলা পুলিসের সুপার আশিস মৌর্যকে। যদিও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)