দুই গোষ্ঠীর লড়াই, আতঙ্ক কৃষ্ণনগর শহরে, চলল গুলি, ব্যাপক বোমাবাজি
বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর শহরে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। পরপর দু’রাত গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কৃষ্ণনগর শহরের চকেরপাড়া এলাকা। এনিয়ে বুধবার এক পক্ষ কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মূল অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বেই এই অশান্তির সূত্রপাত বলে পুলিস জানিয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। অতিরিক্ত পুলিস সুপার(হেড কোয়ার্টার) মাকওয়ানা মিটকুমার সঞ্জয়কুমার বলেন, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার রাতে। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চকেরপাড়ার মুন্না শেখ ও তাঁর বন্ধু দুই যুবক বাইকে যাচ্ছিলেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শুকুল মাঠের কাছে তাঁদের বাইকের লাইট জিতের চোখে পড়ে। তখন মুন্নাকে দাঁড় করিয়ে জিৎ টাকা চেয়ে মারধর করতে থাকে। তাঁর সঙ্গে থাকা দুই যুবক পালাতে গেলে তাঁদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে জিৎ তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। সেই সময় জিৎ তিন রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর মুন্নার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিস গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এরমধ্যে জিৎ তার সঙ্গীদের নিয়ে চকেরপাড়া বারোয়ারির কাছে আসে। সেখানে গিয়ে আরও এক যুবককে মারধর করে। পাশাপাশি সেখানেও ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালায়।
মুন্না বলেন, আমি সোমবার রাতে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলাম। জিৎ আমার গাড়ি আটকে টাকা চায়। তারপর আমাকে বন্দুক দিয়ে মারধর করতে শুরু করে। পালাতে গেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
সেই ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয় চকেরপাড়া এলাকা। সেখানকার ছেলেরা পাশের তেঁতুলতলায় জিতের বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে গিয়ে চকেরপাড়া ছেলেরা শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। বোমাবাজিও করা হয়। পুলিস গুলির খোলগুলি উদ্ধার করেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, জিৎ শাসক দলের প্রভাবশালী একাংশের ছত্রছায়ায় রয়েছে। অতীতে সে একাধিকবার জেলও খেটেছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার গৌতম মালাকার বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। এই ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পুলিস কঠোর ব্যবস্থা নিক।