• নদীর স্রোত কমাতে এবার বাঁশের খাঁচা ফেলে চলছে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: নদীর স্রোত বেড়ে গিয়েছে। তাই ক্রমশই ভাঙছে কাকদ্বীপের রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিরঘাট এলাকার নদীবাঁধ। গত এক বছরের মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার নদীবাঁধে ধস নেমেছে। নদী গর্ভে চলে গিয়েছে প্রায় দশটি দোকান ঘর সহ প্রচুর গাছ। অতীতে বেশ কয়েকবার এখানে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু নদীর প্রবল স্রোত থাকার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এবার সেচদপ্তর ওই এলাকায় বাঁশের খাঁচা ফেলে নদীর স্রোত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এভাবে স্রোত কমানো হলে ওই এলাকায় নতুন করে চর সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    জানা গিয়েছে, ওই ভাঙন-প্রবণ এলাকায় ৮০টি বাঁশের খাঁচা ফেলা হয়েছে। এক একটি খাঁচায় ৪০টি করে ইট বাঁধা হয়েছে। খাঁচাটি যাতে স্রোতে সরে না যেতে পারে, তাই তিনটিকে একত্র করে মোট ১২০টি করে ইট বেঁধে নদীতে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ওখানে ২৫ মিটার এলাকায় নদীর গভীরতা সবচেয়ে বেশি ছিল। সেই গভীরতা কমানোর জন্য প্রায় ৩০টি করে বস্তায় মাটি ভরে কয়েক হাজার বস্তা ওখানে ফেলা হয়েছে। এক্ষেত্রে জিআই তারের জাল দিয়ে ওই বস্তাগুলিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঝাউয়ের বল্লা পুঁতে নদীবাঁধের পাশে পাইলিংও দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই নদীবাঁধটি মেরামত করা হচ্ছে।

    এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা মিতালি থান্ডার বলেন, এবারে খুবই শক্তপোক্তভাবে নদীবাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। অতীতে কোনওদিন এভাবে মেরামত করা হয়নি। নদীর স্রোত ও গভীরতা বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেচদপ্তরের আধিকারিকরা এসে দেখার পর আলোচনার মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী ওই নদী বাঁধের পিছনেও একটা রিং বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। আশা করা যায় এবার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।

    কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সত্যব্রত মাইতি বলেন, আপাতত ৮০টি বাঁশের খাঁচা ফেলে ওখানে নদীবাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর, ওই এলাকার বাকি অংশেও খাঁচা ফেলে একইভাবে বাঁধ মেরামত 

    করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)