সংবাদদাতা, বজবজ: বজবজ-১, বজবজ-২, ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা, বিষ্ণুপুর-২ — এই চারটি ব্লকে জলের পাইপ পাতা, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজে ধারাবাহিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই চলছে। বজবজে ডোঙারিয়ার দিক থেকে প্রধান সড়কের ধার বরাবর পাইপ পাতা হয়েছে। তখন একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। রাস্তা অপরিসর। পাশে অতিরিক্ত জায়গা নেই। এখানে মাটির নীচে রয়েছে ওল্ড ডোঙারিয়ার পুরনো জলের মেইন পাইপ লাইন। এই কারণে জেসিপি ব্যবহার করা যায়নি। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ধরে ধরে কাজ করতে হচ্ছে। রাস্তার পাশে রয়েছে দখলদার। সেই দখল সরাতে কালঘাম ছুটেছে। এজন্য অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এছাড়াও দিনের বেলা ব্যস্ত রাস্তায় কাজ করা হয়নি। রাতে কাজ চলছে সব জায়গাতেই।
অভিযোগ, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় পাইপ লাইন বসানো, লিক মেরামত করতে গেলে এক শ্রেণির মানুষের বাধা ও হুমকির কারণে বহু সময় কাজ থমকেছে। এরপরও জনস্বাস্থ্য দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, আধিকারিক থেকে ঠিকাদার সংস্থা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়লেও হার মানেনি। লক্ষ্য পূরণের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। চারটি ব্লকে পাইপ লাইন পাতার কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ। বজবজ-২ এবং বিষ্ণুপুর-২ ব্লকে দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ শেষ। এখন ট্রায়াল রান চলছে। বেশিরভাগ ওভারহেড জলাধারের কাজ শেষ। বাকিগুলির কাজ চলছে। তবে এজন্য জল দেওয়ার ব্যাপারে অসুবিধা হবে না। সরাসরি জল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই চারটি ব্লকে সব মিলিয়ে জল দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৫৩টি বাড়িতে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২ হাজার ৩৫০টি বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল কাজ।
জনস্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, মন্ত্রী নিজে সংশ্লিষ্ট ব্লকের এই কাজের উপর নজরদারি করেন। মাঝে মাঝে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করে কোথায় কী অসুবিধা হচ্ছে খোঁজ নেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলিতে মাসে একবার বৈঠক করার উপর জোর দিয়েছেন। তা হচ্ছেও। সেখানে ব্লকের প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিরাও থাকেন। এর ফলে জলজীবন মিশন প্রকল্পের এই কাজে গতি বেড়েছে। তবে কেন্দ্রে থেকে এই প্রকল্পের ৫০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে না বলে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও সংশ্লিষ্ট চারটি ব্লকের কাজ বন্ধ হয়নি। দ্রুত কাজ শেষের চেষ্টা চলছে।