• পাঁচ শতাধিক শিল্পীর উজ্জ্বল উপস্থিতি, হুগলীতে লোকশিল্পী সম্মেলন...
    আজকাল | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকশিল্প, লোকসংস্কৃতি এবং লোকসশিল্পীদের উপর বরাবর নজর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। নানা সময়ে শিল্পদের জন্য নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। লোক শিল্পীদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সবসময় গুরুত্ব দেন, অতীতে বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে তা। নানা সময়ে নানা জেলায় জেলাভিত্তিক লোকশিল্পদের সম্মেলন হয়েছে। তালিকা পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া। এবার হুগলিতে সম্মেলন, লোকশিল্পীদের।  

    বুধবার, হুগলি জেলার পাঁচ শতাধিক লোকশিল্পীদের নিয়ে চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হল জেলার লোকশিল্পী সম্মেলন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন জেলার নানা জায়গার বাউল, ভাটিয়ালি, তরজাগান ইত্যাদি বিভিন্ন ঘরানার কণ্ঠশিল্পীরা। সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ঢাকিরা। উপস্থিত ছিলেন পুরুষ ঢাকি, মহিলা ঢাকি। এছাড়াও রবীন্দ্র ভবনে এদিন উপস্থিত হন আদিবাসী সংস্কৃতির নৃত্য, রণপা, রায়বেঁশে, শ্রীখোলবাদন ইত্যাদি ঘরানার লোকশিল্পীরাও। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা, অনুষ্ঠান চলে দিনভর। 

    আরও পড়ুন: ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ দেখাও…’, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুরুলিয়ায় বন মহোৎসব

     সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলাস্তরের আধিকারিকেরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্রীমতী তামিল এস ওভাইয়া আইএসএস,  চন্দননগর পৌরনিগমের মেয়র শ্রী রাম চক্রবর্তী, হুগলি জেলা পরিষদের মাননীয় সভাধিপতি শ্রী রঞ্জন ধাড়া, মাননীয় মেন্টর ও কর্মাধ্যক্ষ : শিক্ষা -সংস্কৃতি - তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতি ড. সুবীর মুখোপাধ্যায়, মাননীয় কর্মাধ্যক্ষ : বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতি  এবং প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী অসীম মাঝি, মাননীয় কর্মাধ্যক্ষ : পূর্তকার্য ও পরিবহন স্থায়ী সমিতি শ্রী বিজন বেসরা, মাননীয়া সদস্যা শ্রীমতী দীপ্তি ভট্টাচার্য, হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান শ্রী অমিত রায়, মহকুমাশাসক হুগলি - চুঁচড়া সদর শ্রীমতী স্মিতা সান্যাল শুক্লা ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।  

      মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পরিকল্পিত জনমুখী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাস্তরের আধিকারিরা লোকশিল্পীদের সামনে আলোচনা করেন। জেলা পরিষদের মাননীয় কর্মাধ্যক্ষ শ্রী বিজন বেসরা, সাঁওতালি ভাষায় রাজ্য সরকারের বিস্তৃত উন্নয়ন কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  লোকশিল্পীরা একাধিক লোকসঙ্গীত পরিবেশনা করেন সম্মেলনে। উল্লেখ্যযোগ্যভাবে তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহার, তফশিলি বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, ডেঙ্গু রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন। 

    দিন কয়েক আগেই পূর্বস্থলিতে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার লোকশিল্পীদের সম্মেলন। জেলা ভিত্তিক এই সম্মেলন নানা সময়ে হয়ে থাকে রাজ্যের জেলায় জেলায়। এবার হুগলিতে। হুগলি এমনিতেই সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান। বিশেষ করে চন্দননগর, চুঁচুড়া। বছরভর এখানে নানা ধরনের অনুষ্ঠান চলতে থাকে সেখানে। তাছাড়াও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগে বছরভর চন্দননগরে নানা ধরনের অনুষ্ঠান, কর্মশালা আয়োজিত হয়ে থাকে। কখনও শিশুদের চলচিত্র উৎসব, কখনও অন্য কোন মনোগ্রাহী বিষয়ে আলোচনা। নানা সময়ে এই বিশেষ উদ্যোগ মানুষের নজর কেড়েছে বারে বারে। 
  • Link to this news (আজকাল)