বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীর নাম মিলেছে বলে অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, একই কায়দায় নেপাল এবং বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও অনুপ্রবেশ করছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জনবিন্যাসের চরিত্র বদলে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। আর অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে তাঁর দাওয়াই— ‘‘অবিলম্বে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চাই। এসআইআর চাই।’’ বুধবার দুপুরে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান শুভেন্দু। সেখানে সাক্ষাৎ করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে। দলের তরফে ছিলেন শিশির বাজোরিয়া। সিইও-র সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
ঘটনাচক্রে, প্রতিবেশী ওড়িশা-সহ কয়েকটি রাজ্যে ‘বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ তুলে বুধবার পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতারা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্ব রাজ্যের নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফের। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘রোহিঙ্গাদের যাতে নিরাপত্তা দেওয়া যায় সেই কারণে মিছিল করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা তাঁর কৃষ্ণনগরের সাংসদকে পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিএসএফের দায়িত্ব। আপনি কেন জমি দেননি?’’
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার এক সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘আমরা প্রত্যেক ইঞ্চিতে ধরব। কোনও বিএলও (বুথ স্তরের অফিসার) যদি তৃণমূলের কথা শুনে এই কাজ করে, তার অবস্থা কাকদ্বীপের বিএলও-র এর মতো হবে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র সক্রিয়। রাজ্যের পূর্বতন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতেন বলেও বুধবার অভিযোগ করেন শুভেন্দু!