বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘হেনস্থা’র অভিযোগকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন পথে নামলেন, সে দিনই একই বিষয়ে আলাদা করে পথে নামল কংগ্রেস, বামও। এর পাশাপাশি কালীগঞ্জে বালিকা খুনের ঘটনা নিয়েও বাংলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস।
বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘বাংলাভাষীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হয়রান করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের বেশির ভাগই সেখানে ২০-৫০ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং তাঁরা ভারতের প্রকৃত নাগরিক।’ এই ধরনের হয়রানির ঘটনা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদীপ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা (১) ও (২) কংগ্রেস, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে বুধবার দলের নেতা-কর্মীরা আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভের পরে দাবিপত্র দিয়েছেন।
দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বেহাল কর্মসংস্থান এবং কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বোমার আঘাতে তামান্না খাতুন খুনে এখনও ১৪ জন অধরা কেন, সেই প্রশ্নেও সরব হয়েছে কংগ্রেস। কর্মসূচিতে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা (১) ও (২), দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তিন সভাপতি যথাক্রমে মনোরঞ্জন হালদার, জয়ন্ত দাস, প্রদীপ প্রসাদ-সহ অন্যেরা। প্রদীপের অভিযোগ, “কেন্দ্র ও রাজ্যে নিয়োগ বন্ধ। লক্ষ-লক্ষ বেকার বাংলা থেকে ভিন্-রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। আর অন্য রাজ্যে গেলে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার।”
একই বিষয়ে মৌলালি মোড়ে জমায়েতের পরে মিছিল করে ‘উৎকল ভবন’ অভিযান করেছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন। পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা বন্ধে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকে চিঠিও দিয়েছে তারা। চিঠিতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেছেন, ‘আপনার রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়রানি, আটক করার মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ সব নাগরিকের স্বাধীন ভাবে চলাফেরা ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত।’