কল্যাণীতে ডার্বি নিয়ে জট, ব্যাপক ভিড়ের আশঙ্কায় ম্যাচ করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ
প্রতিদিন | ১৭ জুলাই ২০২৫
শিলাজিৎ সরকার: ১৯ জুলাই কলকাতা লিগে কল্যাণী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হওয়ার কথা মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের। দুই দলের তরুণ ব্রিগেড মাঠে নামলেও বড় ম্যাচ তো বড় ম্যাচই। তাই এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা কম নয়। সোমবার আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছিলেন, কল্যাণী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। কিন্তু সেই ডার্বি ঘিরে তৈরি হল অনিশ্চয়তা। এত লোক নিয়ে ম্যাচ করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। এই মর্মে বুধবার বিকেলে আইএফএ’কে চিঠিও দিয়েছে তারা।
চিঠি পাওয়ার পর আইএফএ সেক্রেটারি অনির্বাণ দত্ত এবং আইএফএ প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেছেন। তাঁদের প্রচেষ্টা ডার্বি নিয়ে জট কাটানো। উল্লেখ্য, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ডার্বি। প্রথমে বারাসত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি করতে চেয়েছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। কিন্তু বারাসত স্টেডিয়াম এই মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেক্ষেত্রে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কল্যাণীকেই বাছা হয়েছিল।
মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দুই দলের সমর্থকদের জন্য এক হাজার করে টিকিট দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছিল আইএফএ’র তরফে। এর বাইরে ১৩ হাজার টিকিট দেড়শো টাকা দামে সাধারণ দর্শকদের জন্য বিক্রি হবে। কল্যাণীর ছোট স্টেডিয়ামে সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য দু’দলের গ্যালারির মাঠে বড় করে ফেন্সিং তোলারও কথা ছিল। এসবের পাশাপাশি ডার্বি আয়োজন নিয়ে আইএফএ সংগঠনের দিক থেকে নানান চমকপ্রদ পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তার মধ্যে প্রধান ডিজিটাল টিকিট। যা সরাসরি স্ক্যান করে মাঠে ঢোকা যাবে। অন্যদিকে, দর্শকদের কথা ভেবে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকত মেডিক্যাল টিম।
এত আয়োজনের পরেও একটা তথ্য পরিষ্কার, এতদূর গিয়ে একটি দলের মাত্র সাড়ে সাত হাজার সমর্থক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এরপর ডার্বি ঘিরে উত্তেজনাটা তাহলে তৈরি হবে কী করে? মঙ্গলবার মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পর কল্যাণীতে ডার্বি আয়োজন নিয়ে কার্যত বিরক্তিই প্রকাশ করেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। মোহনবাগান সচিব বলেন, “টাকা বাঁচানোর কথা ভেবে আইএফএ যুবভারতীতে ডার্বি করছে না। এত বছর পর নিশ্চয়ই আইএফএ’কে ডার্বির গুরুত্ব বোঝানোর প্রয়োজন নেই।”