জর্জের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্টের ধাক্কা সামলে জয়ে ফিরল মোহন বাগান। বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে কালীঘাট এমএস’কে ২-১ গোলে হারাল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় দলের জয়ের আনন্দে বাড়ি ফিরল হাজার খানেক সবুজ-মেরুন সমর্থক। তবে মূল্যবান তিন পয়েন্ট পেলেও মন ভরাতে ব্যর্থ মিংমারা। ফুটবলারদের মধ্যে বোঝপড়ার অভাব, সুযোগের অপচয় আর রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় থাকবেন বাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো। ম্যাচে পালতোলা নৌকা বাহিনীর হয়ে লক্ষ্যভেদে সফল পাসাং ও করণ রাই। কালীঘাটের একমাত্র গোলদাতা সুরজিৎ হালদার। ম্যাচ শেষে কল্যাণী স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন সবুজ-মেরুন কোচ। তাঁর মন্তব্য, ‘এই মাঠ খেলার উপযুক্ত নয়। কাদায় বল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া দৌড়তে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন ফুটবলাররা। এ বিষয়ে আইএফএ’র নতুন করে ভাবা দরকার।’
গত ম্যাচের প্রথম একাদশে এদিন চারটি বদল করেছিলেন ডেগি। করণকে সিঙ্গল স্ট্রাইকার রেখে ৪-৫-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন তিনি। কাঙ্ক্ষিত লিড মেলে ম্যাচের চার মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে সন্দীপের ভাসানো সেন্টারে শূন্যে শরীর ছুড়ে হেডে জাল কাঁপান পাসাং (১-০)। তবে লিড নেওয়ার পরেই বেরিয়ে পড়ে মোহন বাগান রক্ষণের কঙ্কালসার চেহারা। বাগান ডিফেন্সে বল গেলেই ম্যালেরিয়া রোগীর মতো কেঁপেছেন দুই স্টপার অদিত্য ও বিলাল। পাড়া ফুটবলেও অযোগ্য তাঁরা। দুই সাইড-ব্যাক মার্শাল এবং রোসন তথৈবচ। তারই ফায়দা নিল কালীঘাট। রোসনের মিস পাস থেকে দেবনাথের পা ঘুরে বল পান সুরজিৎ। রানিং বলে দুরন্ত শটে সমতা ফেরান তিনি (১-১)।
ম্যাচে ফের লিড নেওয়ার লক্ষ্যে বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এই পর্বে পাসাং-টংসিনরা একাধিকবার সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন। শেষ পর্যন্ত ৬৪ মিনিটে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের স্বস্তি জুগিয়ে দলকে দ্বিতীয়বারের জন্য এগিয়ে দেন করণ রাই। বাঁ প্রান্তের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জালে জড়ায় (২-১)। ম্যাচের শেষ পর্বে বিতর্ক উস্কে দিলেন রেফারি। পাঁচ মিনিট সংযোজিত সময়ের খেলায় তখন তিন মিনিট গড়িয়েছে। হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে লম্বা বাঁশি বাজিয়ে খেলা শেষের নির্দেশ দেন শুভজিৎ প্রামাণিক। কালীঘাটের তরফে প্রতিবাদ জানানো হলে নজিরবিহীনভাবে ফের ম্যাচ চালু করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইনে আর কোনও বদল ঘটেনি।