কুকুরে খুবলে খেল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের করিডোরে থাকা এক ব্যক্তির দেহ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ জুলাই ২০২৫
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের করিডোরে থাকা এক ব্যক্তির দেহ খুবলে খেল কুকুর। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, এদিন সাফাই কর্মীরা প্রথমে ওই ক্ষতবিক্ষত দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ আউট পোস্টের পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অনেকেই রাতে মেডিক্যাল কলেজে থেকে যান। সেরকমই হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের পাশের একটি করিডোরে শুয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি টাকার অভাবে হোটেলে থাকতে না পেরে রাতে হাসপাতালের করিডরেই শুয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যেই ওই ব্যক্তি করিডরেই মারা যান বলে অনুমান করা হচ্ছে। অসুস্থতার কারণেই সম্ভবত রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সকাল ন’টা নাগাদ কুকুরকে তাঁর পায়ের একটি অংশ খুবলে খেতে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠছে, কোনও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে কুকুর খুবলে খেলো, তা নিয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত, বিষয়টি খতিয়ে দেখা।
যদিও এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডক্টর সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এখানে যাঁরা পিজিটি আছে, নাইট ডিউটি করেন, তাঁরা যেতে পারেন না কুকুরের ভয়ে। অনেক ফ্যাকাল্টিকেও কুকুর কামড়েছে। এই কুকুর নিয়ে আমরা অনেক জায়গায় মিটিং করেছি। এমনকি ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যানিমেল রিসোর্স চাইল্ড ডিপার্টমেন্টকেও জানিয়েছি। কিন্তু কুকুর নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। এখানে ১৫০টি কুকুর রয়েছে। দুটি কারণে এরা লালিত পালিত হচ্ছে। কেননা, যাঁরা রোগীর পরিবারের সদস্য রয়েছেন, তাঁরাও কুকুরকে খাবার দেন। রোগীরাও তাঁদের অবশিষ্ট খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন।
তিনি বলেন, আজকে যে ব্যাপারটা ঘটেছে, সেটা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আর যে ব্যক্তি মারা গেছে, আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোনও রোগী নন। কোথা থেকে এসেছে, তা আমাদের জানায়নি। নিরাপত্তায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। পুলিশ যদি মনে করে, তবেই কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। আর আমরা চাই কুকুরের যে সমস্যা, তা দ্রুত সমাধান হোক।