• জাতীয় গড়ের থেকে বাংলার সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত বেশি?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ জুলাই ২০২৫
  • বিহারে ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা থেকে ৩৫ লাখ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে আগামী বছর বাংলার বিধানসভা ভোটের আগেও ভোটার তালিকা যাচাই করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে বাংলায় ৯০ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হয়রানির প্রতিবাদে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করছিলেন, তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়েই শুভেন্দু দাবি করেন, রাজ্যে প্রায় ১ কোটির কাছকাছি ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।

    শুভেন্দু বলেন, 'কোনও ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, জৈন, পারসি, বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। সব ধর্মের লোক থাকবে। কিন্তু কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না।' এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক দাবি করেন। বলেন, 'জাতীয় স্তরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ৭ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ৯টি বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত জেলায় সেই গড় বৃদ্ধির হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। জাতীয় গড়ের থেকে বাংলার বৃদ্ধি ১০ শতাংশ বেশি। ভোটার বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে মেখলিগঞ্জে ভোটার বেড়েছে ২৪.৭৭ শতাংশ। মাথাভাঙায় বেড়েছে ২১.৭৯ শতাংশ। কোচবিহার উত্তর ১৯.৫৯ শতাংশ। কোচবিহার দক্ষিণ ১৯.৪৭ শতাংশ। শীতলকুচিতে বেড়েছে ২৪.৬২ শতাংশ। দিনহাটায় বেড়েছে ২৫.৯৩ শতাংশ। একই ভাবে নাটাবাড়ি, কুমারগ্রাম ও তুফানগঞ্জে ২১.১০ শতাংশ। লালচিনিতে ২৩.৩২ শতাংশ।'

    উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিকল্পনা করেছে। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের পর এখন পশ্চিমবঙ্গ-সহ অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির মতো রাজ্যগুলো এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। তবে এই পদক্ষেপের সময় এবং পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দল এবং বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এই আবহে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ভুয়ো ও অনাগরিক ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এ প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

    এদিকে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিবাদ জাগিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে বিহার মডেলই সারা দেশে অনুকরণ করা হবে। বিহারের পরে পশ্চিমবঙ্গে এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিস ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা না করেই এর জন্য অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি জোরদার করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলায় আগামী ১ অগস্টের দিকে ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু হতে পারে, যা অক্টোবরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। এরপর প্রয়োজনে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেও সামারি রিভিশন করা যাবে। বিহারের ধাঁচে আগে থেকে ছাপানো গণনার ফর্মের তালিকা এবং একটি নির্দিষ্ট নথির ভিত্তিতে বাংলায় এসআইআর পরিচালিত হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)