• কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির জারির ব্যাপারে রাজ্য কী ভাবছে, তা জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাইই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে রাজনীতিমুক্ত হয় তেমনটাই চাইছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কেন ছাত্র নির্বাচন হচ্ছে না, রাজ্যের কাছে তা জানতে চায় আদালত।  উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। পাশাপাশি রাজ্য জানায়, তাদের কাজ শুধু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা। এই বক্তব্য শুনেই ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রাজ্য আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক, তারপর আদালত বিষয়টি দেখবে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তা  দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।এছাড়াও এদিন রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য,  ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য রয়েছে সেখানে কেন নির্বাচন হবে না?’ রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের প্রক্রিয়া চলছে। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন, সেখানে ভোট করানো যাবে না। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই অস্থায়ী উপাচার্যদের নীতি নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। অস্থায়ী উপাচার্যরা দেখাশোনার কাজ করতে পারেন। তা ছাড়া বাড়তি কোনও সুবিধা পাবেন না।  তবে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সেনের আরও মন্তব্য, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনীতিমুক্ত হওয়া উচিত। স্কুল এবং কলেজের পরিচালন সমিতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিবর্তে শিক্ষাবিদদের রাখা হোক। তাদের থেকে ছাত্ররাও কিছু শিখতে পারবে।’ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। হলফনামা জমা দিতে তিনি জানান, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। অনেক কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে কোনও কার্যকর ছাত্র সংগঠন নেই। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগেই ছাত্র সংসদ গুলিতে তালা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। দু’সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি।
  • Link to this news (বর্তমান)