• এক সঙ্গে অসুস্থ একাধিক ছাত্রী, মারধরের অভিযোগ বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে
    এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ছাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা পর তাদের মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের প্রায় ১২ জন ছাত্রী। বীরভূম জেলার রামপুরহাটের ঘটনা। অসুস্থ ছাত্রীদের ভর্তি করা হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে।

    রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দিপুর এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তি ওই বেসরকারি স্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াতে আসতেন। জীববিদ্যা বিষয়ের ওই শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ।

    জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল জীববিদ্যার শিক্ষক খুরশেদ আলম এবং তাঁর স্ত্রী মাসুমা আলমের। বৃহস্পতিবার স্কুলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পড়াতে গেলে ছাত্রীরা তাঁর ক্লাস করতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, তারপরই ছাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী।

    ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে আগেও মারধর এবং খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। এই শিক্ষকের ক্লাস করতে না চেয়ে গণস্বাক্ষর করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমাও দিয়েছে ছাত্রীরা। তারপরও বৃহস্পতিবার ক্লাস করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। পডুয়াদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের মারধর করার পাশাপাশি খারাপ আচরণ করেন। 

    তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের ১২ জন ছাত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্কুলে যায় পুলিশ। ছাত্রীদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।

    ওই স্কুলের তরফে মহম্মদ ডালিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর তাঁর ক্লাস করতে চায়নি। সেই কারণে ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী ছাত্রীদের মারধর করেন।

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীকে। ঘটনার তদন্ত করছে  রামপুরহাট থানার পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)