• গঙ্গাসাগরে নিয়মিত ভাঙছে কপিলমুনির মন্দিরের সৈকত, আতঙ্কিত এলাকাবাসী, জি প্লটের গোবর্ধনপুর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৪১টি পরিবারকে
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: পরপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাথরপ্রতিমার জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর এলাকা। বিশেষত গত অমাবস্যার কোটালে প্রায় ১২০০ মিটার নদীবাঁধ ভেঙে গিয়ে নোনা জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল পুকুরের মাছ। এরপরই দীর্ঘদিন ওই এলাকায় নোনা জল জমেছিল। সেই জল বেরোনোর আগেই পূর্ণিমার কোটালে আবারও ওই এলাকা নোনা জলে প্লাবিত হয়ে যায়। বারবার এমন বিপর্যয়ের কারণে এলাকাবাসীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেচদপ্তর ১২০০ মিটার রিং বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই এলাকায় রিং বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এই বাঁধের কাজ শেষ হলেই পরবর্তী সময়ে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। সঙ্গে ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন সাংসদ এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। সাংসদ বাপি হালদার বলেন, এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪১টি পরিবারকে এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপাতত ছয়টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের বাসস্থান দেওয়ার জন্য জমি চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে ওই এলাকায় রিং বাঁধ তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

    অন্যদিকে, গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্র সৈকত ক্রমাগত ভাঙছে। এবারের পূর্ণিমার কোটালেও প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকটি ইলেকট্রিক পোস্ট ও ইটের রাস্তা। জানা গিয়েছে, মন্দিরের সামনে দিকে এক ও দুই নম্বর স্নানঘাট থেকে শ্মশান পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার ইটের রাস্তা ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)