খালি গায়ে সোনা পরে আছেন? জানেন না, ছিনতাই হতে পারে! বাগুইআটিতে পুলিস সেজে হার নিয়ে চম্পট দুই দুষ্কৃতীর
বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ‘খালি গায়ে সোনার হার পরে আছেন? জানেন না, ছিনতাই হতে পারে’! দুপুরবেলা নিজের বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন এক যুবক। তাঁর সামনে এসে পরামর্শ দিলেন একজন। এই পরামর্শদাতা নিজেকে পুলিস বলে দাবি করে বলেন, ‘নাগরিকদের সচেতন করাই আমাদের কাজ।’ তিনি যে পুলিস, তার প্রমাণ দেখাতে একটি আইকার্ড বের করেন। পুলিসবেশী ওই আগন্তুকের কথায় কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান যুবক। ‘আসুন, সিনিয়র পুলিস অফিসারের সঙ্গে কথা বলুন’, এই বলে তাঁকে কিছুটা দূরে ডেকে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ছিনতাইয়ের ভয়ে যুবক নিজেই ওই সোনার হার খুলে ‘পুলিসের’ হাতে দেন। তারপর বাইকে চেপে হাওয়া দুই ‘পুলিস’!
যুবকের যখন হুঁশ ফিরল, ততক্ষণে দূরে মিলিয়ে গিয়েছে বাইক। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁরা আর যাই হোক, পুলিস নয়। পুলিস সেজে এসে দুষ্কৃতীরাই হার নিয়ে চম্পট দিয়েছে! বাগুইআটির নারায়ণতলা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ১২ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে, এর আগেও বাগুইআটি থানা এলাকায় এই ধরনের কেপমারির ঘটেছে। দমদমের এক ব্যক্তি সোনার আংটি পরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। বাইক করে এসেই দু’জন তাঁকে একই কথা বলেছিল। ওই ব্যক্তিও ছিনতাইয়ের ভয়ে আংটি খুলে ভুয়ো পুলিসকে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই চক্রটিরও খোঁজ শুরু হয়েছে।
নারায়ণতলার ওই যুবক পুলিসকে জানিয়েছেন, একটি সাদা রঙের বাইকে করে দু’জন এসেছিল। দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। মুখে ছিল মাস্ক। একজন সামনে এসে জানায়, তাঁরা থানা থেকে এসেছেন। পুলিস বলায় বিশ্বাসও করে ফেলি। একজন বাইকেই বসেছিলেন। অন্যজন নেমে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তবে, কৌশলে তাঁকে খানিকটা দূরে নিয়ে যান তাঁরা। তাঁকে বলা হয়, একজন সিনিয়র পুলিস অফিসার আছেন। একটু এগিয়ে আসুন। তিনি আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। ওই যুবক ভিআইপি রোডের দিকে কিছুটা এগিয়ে যান। বাইকে থাকা অপরজন নিজেকে সিনিয়র পুলিস অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে একই কথা বলেন। খালি গায়ে কেন সোনার হার পরে আছেন? তারপরই অন্যমনস্ক হয়ে ওই যুবক হার খুলে নকল পুলিসের হাতে তুলে দেন!