• জায়ান্টের ৩ ভাই পুরকর্মী, তাই কি বাড়ি ভাঙতে দেরি?
    এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়, কামারহাটি: আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিং ওরফে জায়ান্টের বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরসভার দেওয়া নোটিসের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কোনও উত্তর পুরসভা পায়নি এখনও। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা।

    গত ১০ জুলাই বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে পুরসভা ফের একবার জায়ান্টের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে পুরপ্রধান গোপাল সাহার সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দাদের।

    কিন্তু সময়সীমা পার হলেও তাঁদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বাড়িতে বসবাসকারী জয়ন্তের পরিবারকে নোটিস দিয়ে বেআইনি বাড়ি নিয়ে শুনানি করা হবে।

    ওই বেআইনি বাড়িতে বসবাসকারী জায়ান্টের দুই ভাই আবার পুরসভার কর্মী। তারাই জমি মালিকের নামে জারি করা নোটিস গ্রহণ করেছিলেন। পুরসভার দাবি উড়িয়ে জয়ন্তের ভাই বলেন, ‘ওই জমি আমাদের নামে। সমস্ত তথ্য পুরসভায় জমা দেওয়া হয়েছে।’

    কিন্তু জানা গিয়েছে যে জমিতে বেআইনি ওই নির্মাণ করেছিল জয়ন্ত সিং, রেকর্ড অনুযায়ী তার মালিক দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও ননীগোপাল মুখোপাধ্যায় নামের দুই ব্যক্তি। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের নামে নোটিস দিয়েছিল পুরসভা।

    যদিও বাড়িতে থাকা জয়ন্তের ভাই প্রকাশকুমার সিং ওই নোটিস গ্রহণ করেন। প্রকাশ কামারহাটি পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের কর্মী। তাদের আর এক ভাই প্রশান্ত সিংও পুরসভার জল সরবরাহ দপ্তরের কর্মী। আর এক ভাই ফুটবলার প্রিয়ন্ত সিং বরাহনগর পুরসভার কর্মী। তিনজনই স্থায়ী পদে কর্মরত।

    তবে বাড়ি ভাঙার ব্যাপারে পুরসভার সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন, বেআইনি বাড়িটি তৈরির সময় পুরসভা কেন পদক্ষেপ নেয়নি? আদালত ওই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিলেও পুরসভা কেন গড়িমসি করছে?

    তবে কি জয়ন্তের দুই ভাই কামারহাটি পুরসভায় বসে আগেভাগে সমস্ত কিছু জেনে যাচ্ছেন বলেই তাদের পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হচ্ছে এবং তিনতলা দুধসাদা বাড়ির বাসিন্দারা নিশ্চিন্তে বাস করছেন?

    যদিও জয়ন্তের ভাই প্রকাশ বলেন, যে বাড়িটি বেআইনি বলা হচ্ছে সেটি তাদের নামেই রয়েছে। অনেক আগে জমিটি কেনা হয়েছে। তার প্রমাণ চলতি সপ্তাহে পুরসভায় জমা করা হয়েছে।

    অন্যদিকে পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ওই জমির মালিকদের এখনও কোনও হদিস নেই। দু’বার নোটিস জারি করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। ওই জমিতে যারা বেআইনি বাড়ি করে রয়েছেন তাঁদের নোটিস করে ডাকা হবে। তাঁদের উপস্থিতিতে আগামী ২৮ তারিখের বোর্ড মিটিংয়ে বেআইনি বাড়ি নিয়ে শুনানি হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)