• ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে সরকারি প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ কুলতলিতে
    এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে জীবিত মহিলাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই মহিলার নামে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে তা সরকারি দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।

    অভিযোগ, এর পিছনে আছেন কুলতলির কৃত্তনখোলার বাসিন্দা সাহাদুল লস্কর। তিনিই ওই জাল সার্টিফিকেট বার করেন বলে দাবি করেছে ওই মহিলার পরিবার।

    কুন্দখালি গোদাবর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সাবানা নস্করের নামে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় বলে অভিযোগ। অথচ ওই মহিলা গোপালগঞ্জের বাসিন্দা নন। তার পরেও কী ভাবে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

    সাবানার বাবার দাবি, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা এককালীন সাহায্য পেতে নকল নথি জমা দেওয়া হয় এডিও অফিসে। জমা দেওয়া নথিগুলির মধ্যে আধার বাদে সবই জাল। এমন কী সাবানার নামে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলেও অভিযোগ তিনি।

    জানা গিয়েছে সাবানার বাবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁর শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করতে চেয়েছিলেন। তখনই তিন জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাবানার বাবার নাম একই। তবে তাঁদের দু’জনের বুথ নম্বর এবং পিতৃপরিচয়ে ফারাক রয়েছে।

    গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল সরদার বলেন, ‘এইভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা নয়। তদন্ত হচ্ছে।’ একই কথা জানিয়েছেন কুলতলির এডিএলআরও সৌরভ পাড়িয়া। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’

    সাবানার পরিবারের অভিযোগ, এই নিয়ে থানায় এবং বিডিও অফিসে জানানো হলেও শুরুতে তাঁদের কথার আমল দেওয়া হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্ত এবং জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

  • Link to this news (এই সময়)