বঙ্গ সফরের আগে তৃণমূলের ‘অপশাসন’ নিয়ে সরব মোদি, পাঁচ প্রশ্নের জবাব চাইল তৃণমূল
প্রতিদিন | ১৮ জুলাই ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকঘণ্টা পরই দুর্গাপুরে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের মধ্যে যতটা না উন্মাদনা, তার চেয়েও বেশি সংশয়। দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে টালবাহানা, কোন কোন নেতা মঞ্চে থাকবেন, কারা জায়গা পাবেন না, এসব নিয়ে দোটানা। তবে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চেষ্টার কসুর করছেন না প্রধানমন্ত্রী নিজে। রাজ্যে পা রাখার আগেই সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন তিনি।
রাজ্যে আসার একদিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিজেপি’র দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপিই পারবে উন্নয়ন করতে।” জনসভার পাশাপাশি একটি সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করব এবং ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করব।”
বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ সভায় না থাকলেও বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির সব নেতাই আজকের সভায় থাকবেন। শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারদের পাশাপাশি থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তীও।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় পা রাখার আগেই তাঁকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে শুরু করেছে তৃণমূল। দলের অন্যতম সাধারণ কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ফের খালি হাতে বড় বড় বুলি দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে আরও পাঁচটি প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া পোস্ট, ‘মাননীয় ‘প্রচার’মন্ত্রী বাংলায় সভা করতে আসছেন। তাঁর উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন। এক, বাংলা বলা কি অপরাধ? দুই, বাংলা বলা অপরাধ হলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে তিনিও কি সেই অপরাধে দোষী? সেটা না হলে বাংলা বলার অপরাধে নাগরিকদের আটক করে হেনস্তা করা হচ্ছে? কোন আইনে ভাষার ভিত্তিতে সরকার মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে? বিজেপি কি সত্যিই বিশ্বাস করে এভাবে বাংলায় ক্ষমতা দখল করা সম্ভব?”