ভিন্ রাজ্যে, বিশেষ করে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। এই আবহে এ বার উত্তরপ্রদেশের পুণ্যার্থী বোঝাই একটি বাস আটক করার অভিযোগ উঠল বীরভূমের পরিবহণ বিভাগের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতের এই ঘটনার খবর পেয়ে মল্লারপুরে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, “প্রতিহিংসাবশত তারাপীঠে ঘুরতে আসা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাস আটকে পরিবহণ দফতর তীর্থযাত্রীদের হেনস্থা করেছে।”
গভীর রাতে এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৪৫ টাকা জরিমানা করে ও জরিমানার টাকা অনলাইনে দেওয়া হবে বলে মুচলেকা লিখিয়ে বাসটিকে ছাড়ে পরিবহণ দফতর। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “বাসটির বৈধ পারমিট ছিল না। চালকের কাছে যে নথিপত্র ছিল, সেটিও জাল। তাই পরিবহণ দফতর বাসটি আটক করেছিল। আইন মেনে জরিমানা করা হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, বাসের মালিক বৃহস্পতিবার দুপুরে হলফনামা দিয়ে জাল নথি দেখানোর জন্য ক্ষমা চান, জরিমানার টাকাও জমা করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি তারাপীঠ ঘুরে দেওঘরে যাচ্ছিল। মল্লারপুরের ফতেপুর মোড়ে সেটি আটকান পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। বৈধ নথি দেখাতে না পারায় সেটিকে আটক করা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মল্লারপুরে, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের কিসান মান্ডিতে। অভিযোগ, বাস যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানে শৌচালয়, জলের ব্যবস্থা ছিল না। তীর্থযাত্রীদের হয়রান হতে হয়। যাত্রীরা বাস ছাড়ার দাবিতে জাতীয় সড়কে বসে পড়লে পুলিশ এসে সরিয়ে দেয়। যদিও পরিবহণ আধিকারিকদের দাবি, আলাদা বাসে দেওঘর পৌঁছে দেওয়ার কথা বললেও রাজি হননি যাত্রীরা।