ট্রেনের ধাক্কায় ঝাড়গ্রামে তিন হাতির মৃত্যু! সতর্ক করা হয়েছিল রেলকে, দাবি বন দফতরের, শুরু তদন্ত
আনন্দবাজার | ১৮ জুলাই ২০২৫
ঝাড়গ্রামে দূরপাল্লার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন হাতির। বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাঁশতলা স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটের কাছে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে হাতিগুলি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সেই সময় আটটি হাতির একটি দল রেললাইন পেরিয়ে বাঁশতলার দিক থেকে সিপাইবাঁধের দিকে যাচ্ছিল। লাইন ধরে আসছিল দূরপাল্লার একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের চাকাতেই পিষ্ট হয় একটি বড় এবং দু’টি বাচ্চা হাতি। তবে কোন ট্রেনের ধাক্কায় হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার বলেন, “কী করে এই ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। বন দফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছিল কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” ঝাড়গ্রামের বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) উমর ইমাম বলেন, “রাত পৌনে ১১টা নাগাদ রেঞ্জ অফিস থেকে রেলকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ওই এলাকায় একটি হাতির দল রয়েছে। তাই ট্রেনের গতি কমিয়ে বার বার হর্ন দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।” কোন ট্রেনের ধাক্কায় হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিএফও বলেন, “ওই সময় কোন কোন ট্রেন গিয়েছে, তার তথ্য রেলের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। আমরা রেলের ডিআরএমকে চিঠি দিয়েছি। সবিস্তার তদন্ত চলছে। তার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি হাতি মারা যাওয়ার পর দলের বাকি পাঁচটি হাতি আশপাশের এলাকাতেই রয়েছে। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, ওই এলাকায় অন্তত ৩০টি হাতি রয়েছে। একটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পেরিয়ে অন্য জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল হাতির দলটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় যান ডিএফও এবং বন দফতরের অন্য আধিকারিকেরা। যান রেলের আধিকারিকেরাও। সকালে হাতিগুলির দলা পাকানো দেহ ক্রেনের মাধ্যমে তোলা হয়। তার পর ফের ওই লাইন ধরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।