• নাবালিকা নির্যাতনের দু’টি ঘটনায় ২০ ও ১০ বছরের সাজা ডায়মন্ড হারবার আদালতের
    প্রতিদিন | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নাবালিকা নির্যাতনের দুটি পৃথক ঘটনায় সাজা হল দুই অভিযুক্তের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় বছরখানেক আগে ও উস্তিতে ১০ বছর আগে এই নাবালিকা নির্যাতনের দু’টি ঘটনা ঘটেছিল। ডায়মন্ড হারবার সেশন আদালত ফলতার ঘটনায় অভিযুক্তকে ২০ বছর ও উস্তির ঘটনায় অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।

    এক বছর আগে ফলতায় গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে টিউশন পড়তে গিয়েছিল পাঁচ নাবালিকা। অভিযোগ, ওই গৃহশিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে তাঁর ছেলের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় ওই ছাত্রীদের। ঘটনার কথা প্রকাশ করলে নির্যাতিতা নাবালিকাদের ভিডিও ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে। প্রাণহানির হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকারা বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ২২ বছরের দীপাঞ্জন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে, ১০ বছর আগের অন্য একটি ঘটনায় উস্তিতে মাঠে গরু চড়িয়ে ফেরার সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এক নাবালিকা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত সইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে বাবুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

    পুলিশ, আইনজীবী ও ট্রায়াল মনিটরিং সেলের তৎপরতায় নাবালিকা নির্যাতনের এই দু’টি ঘটনায় সাজা হওয়ায় খুশি নির্যাতিতাদের পরিবার ও স্থানীয় মানুষজন। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুনকুমার দে সাধারণ মানুষজনের কাছে আবেদন জানান, এ ধরনের নারী নির্যাতনের কোনও ঘটনা ঘটলে সামাজিক লজ্জা ও ভয় না করে দ্রুত যেন স্থানীয় থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। সেক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগকারীদের সমস্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে। সরকারি আইনজীবী দিবাকর পাখিরা ও কামাল শাহ উপস্থিত ছিলেন এদিন। ফলতায় পকসো মামলায় নির্যাতিতা তিন নাবালিকার পরিবারকে সাড়ে চার লাখ টাকা করে এবং বাকি দু’জনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা করে সরকারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে উস্তির ঘটনায় সেসময় পকসো আইন চালু না থাকায় তৎকালীন আইন মেনেই বিচার প্রক্রিয়া চলে ও সাজা হয়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)