• কী কারণে নিক্কো পার্কে যুবকের মৃত্যু? সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতার নিক্কো পার্কে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত যুবক রাহুল দাসের বাবা। এবার এই ঘটনায় সামনে এল যুবকের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে জানা গেল ঠিক কো কারণে মৃত্যু হয়েছে যুবকের।


    পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী উল্টোডাঙার বাসিন্দা ২৩ বছরের রাহুলের মৃত্যু হৃদ্‌যন্ত্র হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়ার ফলেই। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকলেও, চিকিৎসকদের অনুমান, তা পড়ে যাওয়ার সময়ের আঘাত। ঘটনাটি ঘটেছিল বুধবার দুপুরে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিক্কো পার্কের জলভিত্তিক এক প্রমোদস্থলে নামেন রাহুল। আচমকাই স্নানের মাঝে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করে চাকা লাগানো চেয়ারে করে বাইরে আনা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এদিকে, ময়নাতদন্তে হৃদ্‌রোগের কথা বলা হলেও তাতে সন্তুষ্ট নন রাহুলের পরিবার। বৃহস্পতিবার তাঁরা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ, নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই রাহুলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দাবি, ছেলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকি পায়ের বুড়ো আঙুলে ছিল ক্ষত। সারা শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন রাহুলের বাবা।

    যদিও চিকিৎসকদের মতে, মাথা ছাড়া শরীরের আর কোনও অংশে গুরুতর আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্কের ‘নায়াগ্রা ফল’ নামের প্রমোদস্থল থেকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নামানো হয়েছিল রাহুলকে। তাঁদের তরফে প্রথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয় পার্কের মধ্যেই। এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, রাহুল আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন, যা আগে থেকে বোঝার উপায় ছিল না। তবে পরিবার এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, রাহুল সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। পার্ক চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, অক্সিজেন সরবরাহ বা প্রশিক্ষিত চিকিৎসা সহায়তা ছিল না বলেই এই মৃত্যু। তাঁরা চেয়েছেন পার্কের সমস্ত নজরদারির ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, কোনও বিষক্রিয়া বা বাহ্যিক আঘাত নয়, হৃদ্‌যন্ত্র বন্ধ হওয়াই ছিল এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর আসল কারণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)