• এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরা
    আনন্দবাজার | ১৮ জুলাই ২০২৫
  • স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হল। মামলা করলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। শীর্ষ আদালতে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু তাতে বেশ কিছু আপত্তি তুলে হাই কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত সকল মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। এটা সত্য যে, কমিশন এবং পর্ষদই বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী। কিন্তু দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করা এখন লক্ষ্য। না হলে আগামী দিনে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে। কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এ বার মামলা গেল শীর্ষ আদালতে।

    মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ২০১৬ সালের মতোই হওয়া উচিত। ২০২৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী ২০১৬ সালের নিয়োগ হতে পারে না। বয়সে ছাড়, শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি, নম্বর সংক্রান্ত একাধিক নিয়মে আপত্তি তোলা হয়েছিল কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী এবং ‘অযোগ্য বা দাগি হিসাবে চিহ্নিত নন’ (আনটেন্টেড) এমন ব্যক্তিদের বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তা ছাড়া অন্য কাউকে এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। মামলাকারীদের এই দুই তালিকায় ফেলা যায় না। তা ছাড়া, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল হাই কোর্টের রায় কিংবা ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই যে, ভবিষ্যতে শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যাবে না। আবার, নিয়োগের জন্য রাজ্য বা কমিশন নতুন নিয়ম বা বিধি বানাতে পারবে না— এমন কথাও বলা হয়নি। এসএসসি-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আগে যা ছিল ৪৫ শতাংশ। একেও সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলেছে আদালত।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)