নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ড্রাগ কন্ট্রোলের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ব্লাডব্যাঙ্ক! গত বছর সেপ্টেম্বরে ওই ব্লাডব্যাঙ্ক পরিদর্শনে এসেছিল ড্রাগ কন্ট্রোলের কেন্দ্রীয় দল। পরিদর্শন চলাকালীন তাঁরা একাধিক খামতি খুঁজে পায়। এরপর পরিকাঠামোয় ঘাটতির বিষয়টিকে সামনে এনেই তাদের তরফে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খামতি পূরণ না করলে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ইস্যু করতে পারছে না তাঁরা। ড্রাগ কন্ট্রোলের ওই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে চলে এসেছে। আর তাতেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। লাইসেন্স ছাড়াই বর্তমানে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ব্লাডব্যাঙ্ক চলছে। এটি অবশ্য শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ব্লাডব্যাঙ্ক নয়, রিজিওনাল ব্লাডব্যাঙ্কও। এই ব্লাডব্যাঙ্কের অধীনে রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার ৮টি হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক। অথচ সেই রিজিওনাল ব্লাডব্যাঙ্কেরই ড্রাগ কন্ট্রোলের লাইসেন্স না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, ড্রাগ কন্ট্রোলের টিম ব্লাডব্যাঙ্ক পরিদর্শনে এসেছিল। এরপর তাঁরা রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তাতে মূলত ব্লাডব্যাঙ্কের পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, জায়গা কম। এই কারণ দেখিয়েই ব্লাডব্যাঙ্কের লাইসেন্স দেয়নি ড্রাগ কন্ট্রোল। তাঁর দাবি, আমাদের মেডিক্যালের নয়া ভবন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সেখানে ব্লাডব্যাঙ্কের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাখা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেলে সেখানেই ব্লাডব্যাঙ্ক চলে যাবে। তখন ফের ড্রাগ কন্ট্রোলের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আমরা আর্জি জানাব।